সৌরভ কুমার দেবনাথ।। ঈশ্বরদীতে রুপা খাতুন (৩০ )নামের এক বাকশ্রবন প্রতিবন্ধী মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার ১৫ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চররুপপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রূপা খাতুন চররূপপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর কনস্টেবল আব্দুল বারীর মেয়ে।
নিহতের পিতা জানান, আমার মেয়ে বাকশ্রবন প্রতিবন্ধী তার অসহায়তা ও দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে গত ০৩/০৫/২২ তারিখে কোরবান আলী মৃধার ছেলে উজ্জল মৃধা আমার বাসায় ঢুকে আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে । পরে আমি জানতে পারলে ঈশ্বরদী থানায় বাদি হয়ে ৯,(৪)(খ) ২০০০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩, ধর্ষণের চেষ্টার অপরাধে ঈশ্বরদী থানায় মামলা করি। এরপর ঈশ্বরদী থানা পুলিশ উজ্জ্বল মৃধা কে আটক করে তাকে (১৭ই মে) পাবনা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন। এরপর জামিনে মুক্তি পেয়ে আমার মেয়েকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে । আর এলাকার মানুষের বিভিন্ন ধরনের কুটুক্তির কারনেই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবী করেন। আমার মেয়ে আত্মহত্যার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার মেয়ের আত্নহত্যা করতে যারা বাধ্য করেছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবী জানাই।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, থানায় খবর পাওয়ার পর লাশটি উদ্ধার করে পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply