স্টাফ রিপোর্টার: রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ঈশ্বরদী ও পাকশী এলাকায় অবৈধভাবে সংযোগ নেওয়া অন্তত: ১’শ বাসায় মাসিক চুক্তিতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। ঐসব বাসাবাড়িতে লাইট,ফ্যান,ফ্রিজ,টেলিভিশন এমনকি রান্না করা হিটার চুলাও ব্যবহার করা হচ্ছে।
ঈশ্বরদী ও পাকশী বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের দায়িত্বে থাকা ফোরম্যানরা প্রতিটি বাসায় বসবাসকারীদের নিকট থেকে মাসে ২’শ থেকে ২৫০ টাকা করে আদায় করেন যা সরকারী কোষাগারে জমা হয়না। এ কারণে দীর্ঘদিন থেকে সরকারকে প্রতিমাসে মোটা অংকের রাজস্ব হারাতে হচ্ছে এবং বৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদেরও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। একইভাবে ঐদু’টি অফিসের অনুকুলে প্রতিমাসে নির্দিষ্টহারে বরাদ্দকৃত ডিজেল তেলের একটি অংশও বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। রেলওয়ের পাকশী ও ঈশ্বরদীর ঐসব বাসাবাড়ির ঘনিষ্টদের একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে,রেলওয়ে পাকশী বিভাগের বৈদ্যুতিক বিভাগে মোট ১৪১০ টি বাসা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে বহিরাগতদের নিকট ১৭৭ টি বাসা বরাদ্দ আছে। রেলওয়ে জিআরপি পুলিশের অনুকুলে বাসা বরাদ্দ রয়েছে ১৩০ টি। অনেকেই বরাদ্দকৃত বাসার আঙ্গিনায় নতুন করে ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছেন। এর বাইরেও অনেক বাসা রয়েছে যে সব বাসা বরাদ্দ নেই কিন্ত অনেকেই বসবাস করেন।
এসব বাসাতেও অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে বিদ্যুৎ। আবার অনেক বাসাতে হুঁক লািগয়েও বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। এই অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার প্রচলন এই অঞ্চলে দীর্ঘদিনের। এসব কারণে পাকশী বিভাগীয় বৈদ্যুতিক অফিসের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যেই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করন অভিযান চালানো হয়।
অন্যদিকে সম্প্রতি রেলপথ সচিব পরিদর্শনে আসার পর পাকশী অফিসের স্টাফরা কিছু তেল চুরির পর বিক্রি করে ধরা পড়ায় ঐ অফিসের ফোরম্যান মেহেদীকে অন্যত্রে বদলী করে দেওয়া হয়। এলাকার সচেতন মহল এসব অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে বিদগুৎ ব্যবহার ও তেল চুরি বন্ধের দাবি জানিয়েছে। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ও তেল চুরির অভিযোগ সঠিক না দাবি করে ঈশ্বরদী অফিসের ফোরম্যান রাব্বি জানান,ঈশ্বরদী অফিসের অধীনে মোট ১’শটি বাসায় বৈধ সংযোগ আছে।
পাকশী বিভাগীয় বৈদ্যুতিক কর্মকর্তা (ডিইই) রিফাত শাকিল জানান,অনেকেই বিভিন্ন রকম শক্তি ব্যবহার করে মাঝে মধ্যেই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ব্যবহারের চেষ্টা চালায়। খবর পেলেই আমরা অভিযান চালিয়ে সেই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেই। ইতি মধ্যে ৪/৫ টি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রত্যেককে ২০/২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছি। তেল চুরির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সম্প্রতি ফোরম্যান মেহেদীকে সান্তাহারের বদলী করা হয়েছে।
Leave a Reply