স্টাফ রিপোর্টার।। ফেনীর ফুলগাজীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় রাঙামাটি থেকে এক পুলিশ সদস্য গ্রেফতার হয়েছে।
শুক্রবার (২৬শে ফেব্রুয়ারী) তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত পুলিশ সদস্য ওহিদুল আলম শাওন রাঙামিটির একটি ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলো।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ফেনী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন ওই স্কুলছাত্রী। সে ফুলগাজীর একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি এক কন্যা সন্তান প্রসব করে সেই ছাত্রী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, শাওন ফুলগাজী থানায় কর্মরত থাকাকালে এক বছর আগে ওই ছাত্রীর সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে ছাত্রীটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। শাওনকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়া হলেও সে কিছুতেই রাজী হয়নি। পারিবারিকভাবে দেনদরবার করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রীটি এক কন্যা সন্তান জন্ম দেন।
এই ঘটনায় ছাত্রীটি ২৫ ফেব্রুয়ারি ফুলগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানার উপ-পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায়। মামলার বিবরণে বলা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ছাত্রীটির সাথে সখ্যতা এবং একদিন ঘুরে বেড়ানোর কথা বলে ফেনী শহরের কোন একটি বাসায় নিয়ে ফলের জুসের সাথে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে ছাত্রীটি যখন বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করে তখন তার অশ্লীল ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এভাবে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে সে। বিষয়টি ঐ পুলিশ সদস্যকে জানালে সে নানা কৌশলে এড়িয়ে যায়। মামলার এজাহারে এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি হাকিমের সামনে এমন জবানবন্দি প্রদান করে ঐ ছাত্রী।
মামলা দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন।
Leave a Reply