স্বাধিনতার কন্ঠ।। রোববার (১৭ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪৪ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের আরো দক্ষ হতে হবে। বিশ্ব দরবারে নিয়ে যেতে হবে দেশের চলচ্চিত্রকে।গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাজ গঠনে চলচ্চিত্রের ভূমিকার কথা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমি একজন রাজনীতিবিদ, যত বক্তৃতা দিয়ে মানুষকে যত কথাই বলি না কেন, একটা নাটক, একটা সিনেমা, একটা গানের মধ্য দিয়ে বা একটা কবিতার মধ্যে দিয়ে কিন্তু অনেক কথা বলা যায়, মানুষের অন্তরে প্রবেশ করা যায়, মনের গহীনে প্রবেশ করা যায়। সেজন্য এর একটা আবেদন কিন্তু রয়েছে।
শিশুদের জন্য শিক্ষণীয় চলচ্চিত্র নির্মাণ করার আহ্বান করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের শিশুদের জন্য সিনেমা তৈরি করা একান্তভাবে প্রয়োজন। এর মধ্য দিয়ে একটা শিশু জীবনকে দেখতে পারবে। বড় হতে পারবে। শিশুদের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করা এবং তার মধ্যে দিয়ে তাদের শিক্ষণীয় বিষয়গুলো প্রতিফলিত করা এটাও কিন্তু করতে হবে। অনেক দায়িত্ব আপনাদের।
তিনি আরো বলেন, আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি, সেগুলোও যেমন থাকবে, আবার বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলার জন্য সেগুলোও থাকতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে সেগুলো যেন গ্রহণযোগ্যতা পায়। পাশাপাশি আমাদের যে মহান অর্জন লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি আমাদের সে বিজয়ের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আমাদের চেতনা, আমাদের নীতি-আদর্শ- সেগুলো প্রতিফলিত হওয়া একান্ত দরকার।
তিনি মক্তিযুদ্ধের উপরে আরো চলচিত্র নির্মাণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এবং বলেন, জাতির পিতাকে ১৫ আগস্ট হত্যা করার পর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। কাজেই ইতিহাসটা যেনো সবাই জানে। আমাদের বিজয়ের ইতিহাসটা প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন মনে রাখতে পারে, সেই ধরনের চলচ্চিত্র আরও নির্মাণ হওয়া দরকার।
চলচ্চিত্র উন্নয়নের লক্ষে এফডিসিকে নতুন ভাবে গড়ে তোলা হবে। এফডিসিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মূল অংশে সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এই পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে ২০১৯ সালে চলচ্চিত্রে অবদান রাখায় ২৬টি ক্যাটাগরিতে ৩৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
Leave a Reply