স্টাফ রিপোর্টার।। মঙ্গলবার সকাল থেকে রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ৭’শ ৯৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করে মানববন্ধন, ট্রেন অবরোধ ও বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে। সরকারী নির্মাণ কাজে
বাধা, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী গৌতম বিশ্বাস এবং ট্রলিম্যান লিখনকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে ও সুষ্ঠ বিচার দাবিতে এসব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
রাজবাড়ী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান পলাশ ও কাউসারকে আসামী করে ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে পাকশী বিভাগীয় সহকারী প্রকৌশলী (এইএন-রাজবাড়ী) গৌতম বিশ্বাস সোমবার রাজবাড়ী থানায় মামলা করেছেন।রেলওয়ে পাকশী বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী/১ নাজিব কায়সার ও থানায় দাখিলকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিভাগীয় প্রকৌশলী/১ নাজির কায়সার এর অধিনে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সম্প্রতি প্রধান মন্ত্রী অর্থ বরাদ্ধ দেন। সেই অর্থে পাকশী বিভাগের রাজবাড়ীস্থ সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী গৌতম বিশ্বাসের তদারকিতে রাজবাড়ী স্টেশনের এক্সেস ফেন্সিংকাজ চলমান থাকে। এরই মধ্যে রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী উক্ত চলমান ফেন্সিং কাজ পরিদর্শনের ইচ্ছা পোষন করেন। এমতাবস্থায় গত ১২ সেপ্টেম্বর/২২ সকালে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী গৌতম বিশ্বাস রেলওয়ে কর্মচারীদের নিয়ে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন ইয়ার্ডের সূর্যনগর অভিমুখে ব্রীজ নং ৮৩ আর এ ৪ নং লুপ লাইনে ফেন্সিং এর ফ্লাগিং কাজ করার জন্য রেল রাইন থেকে দূরত্ব পরিমাপ করতে থাকি । এমন সময় রাজবাড়ী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান পলাশের নেতৃত্বে কাউসার সহ ১০/১২ জন এসে গৌতম বিশ্বাস ও ট্রলিম্যান লিখনকে লাঞ্চিত করে।বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে পাকশী বিভাগের সকল পর্যায়ে জানাজানি হলে কর্মকর্তা-কর্মচারি ও শ্রমিক নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সোমবার রাতেই পাকশী বিভাগের সকল পর্যায়ে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকাল থেকে রেলওয়ে পাকশী বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী/১ নাজির কায়সার এর অধিনের ৭’শ৯৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি ও শ্রমিক নেতারা দিনব্যাপি কর্মবিরতি করে পাকশী বিভাগীয় অফিস চত্বর, রাজবাড়ী স্টেশন চত্বর ও মোরাকগঞ্জসহ বিভিন্নস্থানে মানববন্দন, বিক্ষোভ সমাবেশ, ট্রেন অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করে অপরাধিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন। এসব কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, পাকশী বিভাগীয় সেতু প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, ঈশ্বরদীর আই ডাব্লিউ আবু তৌহিদ সুমন, শ্রমিকলীগ পাকশী শাখার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কাউসার জামান মামুন, আবুল বাশার, ফরিদুজ্জামানসহ অনেকে। বক্তারা ঘোষনা দেন, সরকারী কাজে বাধা প্রদান এবং কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের লাঞ্চিত করায় সুষ্ঠ বিচার না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
Leave a Reply