স্বাধিনতার কন্ঠ ডেক্স।।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি এটা স্পষ্ট বলতে চাই, আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসা করতে আসেনি। জনগণের সেবা করতে এসেছি; সেবক হিসেবে এসেছি।নিজেদের আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আমরা গড়ে তুলতে চাই। কারও কাছে হাত পেতে আমরা চলতে চাই না।’
আরো বলেন, ‘ছিয়ানব্বই সালে যখন আমি সরকার গঠন করি, দেশে ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। আমি এটা বলব, যারা ক্ষমতায় ছিল, দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক এটা তারা কখনো চায়নি। আমদানির ওপরই বেশি তাদের আন্তরিকতা ছিল। তার কারণ হলো তাদের নিজেদের কিছু লোক আমদানি করে ব্যবসা করবে।’
দেশবাসীর উদ্যেশে তিনি বলেন, ‘একটু জমিও যদি থাকে, তাতে নিজের ঘরের জন্য যা প্রয়োজনীয় সেটা চাষ করুন। তাহলে খাদ্য ঘাটতি কমবে। সকলের চেষ্টায় খাদ্যের উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে।’
সুষম খাবারের বিষয়ে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখন মানুষের সামর্থ্য বেড়েছে। মানুষ এখন ভাতের পাশাপাশি কিছু আমিষও কেনে। এজন্য সুষম খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। এর জন্য প্রচার বাড়াতে হবে। জনগণকে জানাতে হবে যে শিশুরা কী খাবে, বৃদ্ধরা কী খাবে আর একজন গর্ভধারিণী মা কখন কী খাবে।’
এ সময় শেখ হাসিনা ভেজাল খাদ্য বিক্রেতাদের কঠোরভাবে দমনের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘দুই পয়সা বেশি লাভের আশায় তারা খাদ্যে ভেজাল দেয়। কেমিক্যাল মেশায়, পঁচা-বাসি খাবার মানুষকে খাওয়ায়। সেটা যেন না করে সে জন্য তাদের প্রথমে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। না মানলে কঠোরভাবে দমন করতে হবে।’
কেন্দ্রীয় ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরির পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় ফুড টেস্টিং ল্যাব তৈরির তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে একশ ইকোনমিক জোন করছি। সেখানে অনেকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ করবে, রফতানি করবে। তাদের সার্টিফিকেট লাগবে। সেজন্য প্রতি বিভাগে অন্তত একটা ল্যাব প্রয়োজন। গ্রাম থেকেও যেন খাদ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকে।’
Leave a Reply