স্টাফ রিপোর্টার,ঈশ্বরদী।। ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি ও শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠা শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে ঈশ্বরদী ইপিজেডের জাপানী কোম্পানী নাকানো ইন্টারন্যাশনালের এক্সকিউটিভ অফিসার সুইটি আক্তারকে অপসারণ করা হয়েছে। বেপজার কতিপয় কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন শ্রমিক নির্যাতন অব্যাহত থাকলেও কেউ কখনও শ্রমিকদের পাশে না দাঁড়ানোর কারণে আন্দোলন আস্তে আস্তে দানা বাধে।আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, এক্সকিউটিভ অফিসার সুইটি আক্তার মালিক ও বেপজার কতিপয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এবং কোম্পানী পক্ষকে ভুল বুঝিয়ে দীর্ঘদিন থেকে নিজে ফায়দা লুটতেন। আর শ্রমিকদের উপর নানা রকম অত্যাচার নির্যাতন চালাতেন। বৈধ ছুটিও শ্রমিকদের দিতে নানা প্রকার অনিয়ম ও নির্যাতন চালানো হত।দীর্ঘদিন এমন অবস্থা চলতে থাকায় অসংখ্য শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে থাকে। এ অবস্থায় সোমবার সকালে সুইটি আক্তার শ্রমিকদের সাথে একই আচরণ করতে শুরু করলে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায় একজন দুজন করে বিষয়টি সকল শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনে রুপ নেয়। এ অবস্থায় ফ্যাক্টরীর প্রধান ফটক বন্ধ করে শ্রমিকদের আটকে রাখা হয়। এতে শ্রমিকরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সুইটি আক্তারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার স্লোগান দিয়ে শাস্তি ও অপসারণ দাবি করতে থাকে। এক পর্যায়ে বেপজা কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্দোলন শুরুর প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর সুইটি আক্তারকে অপসারনের ঘোষনা দিলে শ্রমিকরা শান্ত হলে প্রধান ফটক খুলে দেওয়া হয়। এদিকে এসব ঘটনা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ঈশ্বরদীর কয়েকজন দায়িত্বশীল সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে বেপজা গেটে তাদেরকে আটকে দিয়ে সংবাদ সংগ্রহে বাধা প্রদান করে।একই সাথে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয়। পরে তারা বেপজার জিএম কার্যালয় থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য জিএমএর সাথে সাক্ষাত করার চেষ্টা করা হলেও গেট বন্ধ করে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দাড়োয়ান তাদেরকে জিএম অফিসে ঢুকতে বাধা দিয়ে সাংবাদিকদের ঢোকার অনুমতি নেই বলে জানান। এ অবস্থায় চেষ্টা করেও বেপজার জিএমের কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply