স্টাফ রিপোর্টার,ঈশ্বরদী।। ঈশ্বরদীতে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে স্টেভিয়ার চারা উৎপাদন, মাঠ মূল্যায়ন এবং স্টেভিও সাইড নিস্কাসন কর্মসূচি বিষয়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ সুগারক্রপস গবেষনা ইনষ্টিটিউটের
ট্রেনিং বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষি মন্ত্রনালয়ের আর্থিক সহায়তায় এবং বাংলাদেশ
সুগারক্রপস গবেষনা ইনষ্টিটিউটের বাইয়োটেকনোলোজী
বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ সুগারক্রপস গবেষনা ইনষ্টিটিউটের মহপরিচালক ড.আমজাদ হোসেন। প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর বিভাগের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: মুনির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মসূচি পরিচালক, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বাইয়োটেকনোলোজী বিভাগের প্রধান ড. কুয়াশা মাহমুদ। স্টেভিয়ার সম্প্রসারণ ও অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন, প্রজনন বিভাগের সিএসও ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্ত ড. মো: আনিসুর রহমান এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি মহাপরিচালক ড.আমজাদ হোসেন ও কর্মসূচি পরিচাল ড. কুয়াশা মাহমুদ জানান, ভারত উপ-মহাদেশের কোন দেশেই স্টেভিয়া গাছ নেই। সে জন্য বংশ বৃদ্ধি সম্ভব হয়নি । ২০০১ সালে বিদেশ থেকে এই গাছ আনা হয়। এই গাছ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী । স্টেভিয়ার এক কাপ পাউডারের মিষ্টির সমান চল্লিশ চামচ চিনির মিষ্টির সমান। বাংলাদেশ সুগারক্রপস গবেষনা ইনষ্টিটিউটে আট প্রকার মিষ্টি জাতীয় ফসল রয়েছে। এর মধ্যে,তালপাতা,যষ্টি মধু ও স্টেভিয়া উল্লেখযোগ্য। স্টেভিয়ার গুড়া দিয়ে তৈরী চা পানে ডায়াবেটিস রোগীদের কোন প্রকার সমস্যা হয়না। তারা
আরও বলেন, ইতিমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদেশে
স্টেভিয়ার সম্প্রসারণ করা চেষ্টা করা হচ্ছে। কৃষক পর্যায়েও সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে ড: শরিফুল ইসলাম স্টেভিয়া আবাদ করে দু’মে:টন স্টেভিয়ার পাওডার সংরক্ষণ করেছেন। মানুষ এখনও স্টেভিয়ার মিষ্টি সম্পর্কে পুরোপুরি ধারনা অর্জন করতে না পারায় চাহিদাও বৃদ্ধি পায়নি। তাই এই পাওডার বিক্রি করাও কঠিন হচ্ছে।
Leave a Reply