এ্যাড.হেদায়েত-উল হক,ঈশ্বরদী।। ঈশ্বরদীতে ১৪৪ ধারা অমান্য করে মাতার নামে ক্রয়কৃত ও রেকর্ডিও বাড়িসহ জমি অবৈধভাবে দখলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট জামিল আক্তার এলাহী। আজ শনিবার সকালে ঈশ্বরদীর গোকুল নগরস্থ গোল্ডেন জাজিরা পার্টি সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে এডভোকেট জামিল আক্তার এলাহী বলেন, আমার মাতা মোসা: লাইলুন নাহার জজে মৃত এলাহী বক্স বিগত গত ৫/৮/১৯৮২ ইং তারিখে ১৪৬৩৭ নম্বর দলিল মূলে মোঃ শফিকুর রহমানের নিকট থেকে এবং মোঃ শফিকুর রহমান এসএ রেকর্ডের মালিক মোঃ আইজউদ্দিনের এর নিকট হতে আই ৫৫১৯ দলিল মূলে মাজদিয়া মৌজার আরএস খতিয়ান ১৬৮২ আরএস দাগ নং-৫৩৫৬ মোট ৯ শতাংশ জমির মধ্য হতে ৪ শতাংশ জমি ও আরএস খতিয়ান ১৬৬৯ আরএস দাগ নং-৫৩৫৭ এর ২ শতাংশ মোট ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে নিজ নামে আরএস রেকর্ড লিপিবদ্ধ করে সরেজমিনে বাগানবাড়িসহ প্রায় ৩৫ বছর ধরে ভোগ দখলে আছি। বাগানবাড়িসহ জমির চতুর্দিকে পাকা সীমানা প্রাচীরসহ লোহারগেট নির্মাণ করে একজনের নিকট ভাড়াটিয়া হিসেবে বাড়ির একটি রুম ভাড়াদেন। ভাড়াটিয়া লোহারগেটে তালা লাগিয়ে সমস্ত বাগানবাড়ি দেখাশোনা করেন। এমতাবস্থায় গত ২৩.০৬.২০২৩ ইং তারিখ সকাল ১০ টায় আজাহার প্রাং এর ছেলে সুবেল ও আক্তারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে জোরপূর্বক আমার মাতার ৩৫ বছরের সত্ব দখলীয় সম্পত্তি দখল করার অপচেষ্টা করে। তারা বাড়ির গেটে লাগানো তালা ভেঙ্গে নিজেদের তালা লাগিয়ে দেয়। এঅবস্থায় পুলিশ প্রশাসন এসে তাদের লাগানো তালা খুলে আবার আমার মায়ের পক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, মোসাঃ সাজেনা বেগম ঈশ্বরদীর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সম্প্রতি বাটোয়ারা মকদ্দমা নং ১৩১/২০২২ দায়ের করেন। এরপর আমার মাতা উক্ত মামলায় পক্ষ ভুক্ত হন। এর পর হতে সাজেনা বেগম আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী একটি ১৪৪ ধারা,১০৭ ধারা ও দন্ডবিধি অনুযায়ী আরও একটি মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত শুনানী অন্তে সকল মামলা খারিজ করে দেন। উক্ত সাজেনা বেগমসহ অভিযুক্ত অন্যান্যরা অহেতুক হেনস্থা ও সম্মানহানী করার জন্য বিভিন্ন প্রকার অপকৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছে। এডভোকেট জামিল আক্তার আরও বলেন,উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ঈশ্বরদী এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ জমি জালিয়াতি চক্র বিভিন্ন লোকবল বিহীন সম্মানী ব্যক্তিদের সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে নকল কাজপত্র তৈরী করে পেশী শক্তি প্রয়োগ করে এবং প্রয়োজনে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অবৈধভাবে বৈধ জমি বেদখল করার মত অপকর্মে লিপ্ত রয়োেছ। ইতিমধ্যে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকার অনেককেই তাদের বৈধ জমি ছেড়ে দিতে হয়েছে। সম্মেলনে এহেন কার্যকলাপের বিচারও চাওয়া হয়। সম্মেলনে ১ নং সাঁড়া ইউনিয়নের মেম্বর শহিদুল ইসলাম, অপর ভুক্তভোগী জুয়েল প্রাং ও মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলও বক্তব্য দেন।
Leave a Reply