ক্যাপশন ।। মুলাডুলি দারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল হোসাইনের আর্থিক অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য,স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অনিয়মের সুষ্ঠ বিচার,চাকরীচ্যুতি ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন,সমাবেশের একাংশ।
এএ আজাদ হান্নান ।। মুলাডুলি দারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল হোসাইনের আর্থিক অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য,স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অনিয়মের সুষ্ঠ বিচার,চাকরীচ্যুতি ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন,সমাবেশ,লিপলেট বিতরণ ও ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসার শিক্ষক,কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মাদ্রাসার সামনের রাস্তায় ও স্থানীয় বাজারে এসব কর্মসুচি পালন করা হয়। কর্মসুচিতে শিক্ষকদের মধ্যে প্রভাষক আমান উল্লাহ,নজরুল ইসলাম ,আনিসুর রহমান,আব্দুল কাদের,আব্দুল সবুর,মুন্তাজ হোসেন,হাবিবা খাতুন,বাবুল আক্তার,সাবিনা ইয়াসমিন,হাবিবা খাতুন,সরোয়ার হোসেন,মেহেদী হাসান,কারী মুন্তাজ হোসেন,শহিদুল ইসলাম-১,শহিদুল ইসলাম-২,শহিদুল ইসলাম-৩,এনামুল হক,কর্মচারীদের মধ্যে আব্দুল কাহাব,রেজাউল ইসলাম ,তানভীর আহমেদ আকাশ,লাবনী খাতুন,শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাদিয়া খাতুন,লাবনী খাতুন,মাহমুদ হাসান অভি বক্তব্য দেন। বক্তারা অধ্যক্ষ আবুল হোসাইনের বিরুদ্ধে ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯১ টাকা আতœসাত,প্রতিষ্ঠানের ল্যাপটপ ও খেলাধুলার সামগ্রী নিজ বাড়িতে নিয়ে ব্যবহার করা,ভূঁয়া রশিদ বই ছাপিয়ে অর্থ আদায় ও আত্নসাত,শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে অর্থ আদায় করে আত্নসাতের অভিযোগসহ চব্বিশ প্রকার গুরুতর অনিয়ম,ক্ষমতার অপব্যবহার এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ,প্রতিষ্ঠানের অর্থ ফেরত ও চাকরী চ্যুতির দাবি জানান। এর আগে গত সোমবার সকালে আয়োজকরা মুলাডুলি-ঢাকা মহাসড়কে মানববন্ধন,প্রতিবাদ-সমাবেশ করে অধ্যক্ষের শাস্তি নিশ্চিত করণ পূর্বক চাকরীচ্যুতির দাবি করা হয়। গত মঙ্গলবার বিকেলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারীরা ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অর্থ আত্নসাতসহ ৬৫ দফা অনিয়মের লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। একই সময়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরাও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অর্থ আতœসাতসহ পৃথক ২০ দফা অনিয়মের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও চাকরীচ্যুতির আবেদন দাখিল করেন।এদিকে অধ্যক্ষ আবুল হোসাইন কর্তৃক দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আতœসাতসহ নানা অনিয়মের কারণে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আতœসাত ও শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অসংখ্য অভিভাব দের মধ্যে মোঃ জামাল ও মোঃ শাজাহান সাংবাদিকদের অভিযোগ করে জানান,দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের অনিয়ম দূর্নীতি ঢাকতে এবং তাকে রক্ষা করতে কতিপয় দালাল শ্রেণীর ব্যক্তিরা আর্থিক সুবিধা নিয়ে ও বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে বিশেষ বিশেষ দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে ম্যানেজ করার অশুভ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।এসব অভিযোগের বিষয় জানার জন্য গত মঙ্গলবার অধ্যক্ষ আবুল হোসাইনকে মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করার পর সাংবাদিক পরিচয় ফোন কল কেটে দেন। পরে তাকে বার বার কল করার চেষ্টা করা হলেও মোবাইল ফোনটি বন্ধ রাখা হয়। একই বিষয় জানার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসায় গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।#
Leave a Reply