স্টাফ রিপোর্টার ঈশ্বরদী।। ঈশ্বরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, দৈনিক জনকন্ঠ ও বাংলা টিভির স্টাফ রিপোর্টার তৌহিদ আক্তার পান্না সাংবাদিকতায় ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্মরূপ আবারও সম্মননা পদক পেয়েছেন। গত ৩১ মার্চ বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থান
গড়ের শিবগঞ্জ আমতলী মডেল স্কুলে দিনব্যাপি আয়োজিত অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাঁকে এই সম্মননা পদক প্রদান করা হয়। এছাড়াও সরকারের দায়িত্বশীল জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক, সমাজ সেবায় ডাঃ রেজাউল করিম, দক্ষ স্কুল পরিচালক
মীর মহোরম আলী ও করোনা যোদ্ধা মুশফিকুর রহিমসহ এগারোজনকে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখায় গুণীজন হিসেবে সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। একই সাথে বই পড়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে শীর্ষ স্থান অধিকারী পঞ্চাশ শিক্ষার্থীকেও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
উত্তরাঞ্চলের বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রতিষ্ঠান বগুড়া শিবগঞ্জের আমতলী মডেল হাইস্কুলে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ভিন্ন মাত্রা ও পরিবেশে আলোচনাসভা, গুণীজন সংবর্ধনা, নৃত্যানুষ্ঠানসহ
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঐদিন সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত স্কুল চত্বরে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সমাজ সেবক মীর লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন,র্যাব-৪ ঢাকার অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বিপিএমবার,পিপিএম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ট্রপিক্যাল হোমসের চেয়ারম্যান ডাঃ রেজাউল করিম, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার
উম্মে কুলসুম শম্পা, শিবগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর ইসলাম ও শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক কুমার রায়।
পরে হাজার হাজার দর্শকদের উপস্থিতিতে স্কুলের
শিক্ষার্থী ও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের সমন্ময়ে প্রায় ছয় ঘন্টা ব্যাপি বিভিন্ন প্রকার নৃত্যানুষ্ঠান, অভিনয় ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এক নজরে আমতলী মডেল স্কুলের ইতিহাসঃ- অঙ্কুরেই শিশুদের ভবিষ্যত যাতে বিনষ্ট না হয়ে যায় এই উপলব্ধি থেকেই ২০০৩ সালে মাত্র ২৩ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় গড়ে তোলা তোলা হয় আমতলী
মডেল স্কুল। এই স্কুল প্লে–গ্রুপ থেকে ১০ম শ্রেণি যার
ইআইআইএন নম্বর ১৩৭৬৬২ কোড নং ৪৫১১।
বৈশিষ্ট্য ও শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম- আধুনিক বৈশিষ্ট্যের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে নিরিবিলি পরিবেশ, পরিপাটি ক্যাম্পাস, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা, উন্নত যোগাযোগ, নলকুপ, স্বাস্হ সম্মত পৃথক শৌচাগার, সিসি ক্যামেরা, স্কুলের ওয়েবসাইট, ইউটিউব এবং ছাত্র-ছাত্রী আনা-নেয়ার জন্য রয়েছে নিজস্ব পরিবহন। বছরের শুরুতেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেয়া হয় শিক্ষার পাঠ-পরিক্রমা, পরীক্ষার সময়সূচি ও ছুটির তালিকাসহ অন্যান্য তথ্য। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা শতাধিক। প্রতিটি ক্লাসে আসনসংখ্যা সীমিত। ৩০ জন শিক্ষক পাঠদান করেন। সেমিস্টার পদ্ধতিতে দেয়া হয় শিক্ষাদান। পে–গ্রুপ, নার্সারি ও কেজি শ্রেণিতে বিষয়ভিত্তিক মূল শিক্ষককে সহযোগিতা করেন একজন সহকারী শিক্ষক। দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা।ছেলে-মেয়েদের দেয়া হয় জীবনমুখী শিক্ষা। আলোকিত মানুষ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে নেয়া হয় অভিভাবক, শুভানুধ্যায়ী ও জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের পরামর্শ। হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা ও কম্পিউটার শিক্ষা। রয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শরীরচর্চা, শারীরিক কসরত, চিত্রাঙ্কন, নৈতিক শিক্ষা সহ বিভিন্ন শিক্ষা মূলক কার্যক্রমের ব্যবস্থাও রয়েছে। উপরন্তু প্রতি বৃহস্পতিবার থাকে ব্যবহারিক জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক চর্চার আয়োজন।
স্কুলটি সেকায়েপ প্রকল্পের অর্তভূক্ত। এখানে উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। রয়েছে পাঠাগারের বই পড়া, সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা, মেডিক্যাল চেকআপ, অভিভাবক সমাবেশ, শিক্ষাসফর বা বনভোজনের ব্যবস্থা। এছাড়া জাতীয় দিবস পালন ও তার আগের দিন শিক্ষার্থীদের নিয়ে উক্ত দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা করা হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ সঠিক ইতিহাস জানতে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশের জন্মকথার ওপর একটি
প্রামাণ্য চিত্র।
পরীক্ষা ও ফলাফল – মাসিক পরীক্ষা ছাড়া পুরো শিক্ষাবছরে নেয়া হয় ৩টি পরীক্ষা। কাক্সিখত ফল লাভে নেয়া হয় বাড়তি ক্লাস। ফল প্রকাশ করা হয় গ্রেডিং পদ্ধতিতে। পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় রয়েছে অভাবনীয় সাফল্য। শতভাগ পাসসহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে
স্কুলটি গৌরব অর্জন করেছে।
কয়েক বছরের ফল – ২০১৮ সালে জেএসসিতে ২৯ জনের মধ্যে ১৩ জনই এ-প্লাস। বৃত্তি পেয়েছে ৬ জন। ২০১৭ সালে জেএসসিতে ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনই এ- প্লাস ।
বৃত্তির ফল প্রকাশ হয়নি। ২০১৬ সালে জেএসসিতে ২৬ জনের মধ্যে ২৬ জনই এ- প্লাস । বৃত্তি পেয়েছে ১৩ জন। ২০১৫ সালে জেএসসিতে ২৪ জনের মধ্যে ১৮ জনই এ- প্লাস । বৃত্তি পেয়েছে ৬ জন। ২০১৮ সালে পিইসিতে ৪৯ জনের মধ্যে ৪৮ জনই এ- প্লাস । বৃত্তি পেয়েছে ৭ জন। ২০১৭ সালে পিইসিতে ৩৩ জনের মধ্যে ৩২
জনই এ- প্লাস । বৃত্তির ফল প্রকাশ হয়নি। ২০১৬ সালে পিইসিতে ৩১ জনের মধ্যে ২৩ জন এ- প্লাস । বৃত্তি পেয়েছে ৯ জন। ২০১৫ সালে পিইসিতে ২৬ জনের মধ্যে ১৩ জন এ-প-াস। বৃত্তি পেয়েছে ৩ জন। ২০১৪ সালে পিইসিতে ২৪ জনের মধ্যে ১৪ জন এ-প-াস। বৃত্তি
পেয়েছে ৫ জন। ২০১৩ সালে পিইসিতে ২৫ জনের মধ্যে ২১ জন এ- প্লাস। বৃত্তি পেয়েছে ৩ জন। ২০১২ সালে পিইসিতে ১৮ জনের মধ্যে ১৭ জন এ-প্লাস। বৃত্তি পেয়েছে ৩ জন।২০১১ সালে পিইসিতে ১৭ জনের মধ্যে ৮ জন এ-প্লাস। বৃত্তি পেয়েছে ৩ জন।
স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় নার্সারি থেকে ৯ম শ্রেণিতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীকে দেয়া হয় উপহার সামগ্রী। পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্তদের বেতন ফ্রি।। শিক্ষা বৃত্তি হিসেবে চালু রয়েছে পে- গ্রপ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত মা অথবা বাবা-হারা ছাত্র-ছাত্রীর জন্য বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ। পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ঐ বছরে নেয়া বেতন ফেরত। কারণ আমাদের ধারণা, কর্তৃপক্ষের গাফিলতি না থাকলে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হতো না। একই চত্বরে আরও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভাষাসৈনিক বাহাউদ্দীন চৌধুরী পাঠাগার রয়েছে। সমৃদ্ধ জাতি গঠনে পাঠাগারের গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে পাঠ-অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষে ভাষাসৈনিক বাহাউদ্দীন চৌধুরী পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক তালিকাভুক্তিকরণ সনদ নম্বর ব/৭৬। বিনাশর্তে যে কেউ এই পাঠাগারের বই পড়ে তার সারমর্ম লিখে দিলেই তাকে নগদ ৩০ থেকে ৫০ টাকা সম্মানী দেয়া হয়। অমর একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিবছর এই স্কুলে ২৪শে ফেব্রুয়ারি বই পড়া দিবস পালন করা হয়। বই পড়ার প্রতিযোগিতাও হয়। দেওয়া হয় তাদের পুরস্কার। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আরও বই পড়ে মেধার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটানোর লক্ষেই এই উদ্যোগ। কারণ আলোকিত মানুষ হতে হলে বই পড়ার বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য, বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে যারা সংগ্রাম করেছেন, জীবন দিয়েছেন তাদের স্মৃতি ধরে রাখার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এই পাঠাগার। বাহাউদ্দীন চৌধুরী তাঁদেরই একজন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, সাংবাদিক, তথ্য সচিব সাইফুল ইসলাম বাহাউদ্দিন
চৌধুরীর বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া গ্রামে। আমতলী মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মীর লিয়াকত আলীর সঙ্গে তার পরিচয় দুই যুগেরও বেশি। সেই সুবাদে তিনি স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে আসতেন। ২০১২ সালে ১৬ মে বাহাউদ্দীন চৌধুরী
মৃত্যুবরণ করেন। মহান স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বীর সেনানী হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহকে গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়। এরপর জাতীয় প্রেস ক্লাব, এফডিসি ও বনানী কবরস্থানে জানাজা শেষে তার লাশ সেখানেই দাফন করা হয়। আমতলী মডেল স্কুল
সংগ্রহশালা মানব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চিতার এক চলমান পাদপীঠ। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যেমন শিক্ষা লাভ করা যায়, তেমনি সংগ্রহশালাও জ্ঞানার্জনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম। ঐতিহ্যের যে প্রবাহমান ধারা তা মূলত প্রদশর্নীর মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের কাছে তুলে ধরা হয়। একটি সংগ্রহশালা নানা বিষয়ের দর্পণ। প্রকৃত ইতিহাস জানতে সংগ্রহশালার গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু পণ্ডিত ও মনীষীদের বই পড়েই নয়, একটি সংগ্রহশালী ভবিষ্যত প্রজন্মকে নিজেদের সংগ্রামী অতীত চেনার বা জানার বিরল সুযোগ সৃষ্টি করে। জাতি গঠনে এধরনের শিক্ষার প্রয়োজনীতা রয়েছে। এই সংগ্রহশালায় রয়েছে গ্রামবাংলার বিলুপ্তপ্রায় নানা নিদর্শন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তি সংগ্রামের দুর্লভচিত্র ও খ্যাতিমান ৮ শতাধিক ব্যক্তির প্রতিকৃতি। রয়েছে নোবেল জয়ীদের তালিকা, শিলা, খনিজসম্পদ, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, দর্শনীয় স্থান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য, শিল্পকর্ম, ফল-ফুল, জীবজন্তু, পশু-পাখিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিকৃতি। প্রতিবছর এই সংগ্রহশালা-বিষয়ক স্কুল-কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ‘সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হয়। ৫০ মিনিটে ৫০টি প্রশ্নের এককথায় উত্তর প্রশ্নপত্রেই দিতে হয়। নম্বরের ধরন বাংলাদেশের জন্মকথা পুস্তিকা থেকে ২০ ও আমতলী মডেল স্কুল সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত বিষয় বা নিদর্শন থেকে ৩০ নম্বর। শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিই এই সংগ্রহশালার মূল লক্ষ্য।
নিরক্ষরকে অক্ষর দান কেন্দ্র – নিরক্ষরতা আমাদের জাতীয় জীবনে বিরাট অভিশাপ। নিরক্ষরতা দূর হলে মানুষ শিক্ষার আলো পাবে এবং আধুনিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে। দেশের উন্নয়ন হবে। তাই আমতলী মডেল স্কুল শিক্ষা বঞ্চিত বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছে অক্ষরদান কেন্দ্র। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন স্কুল
ছুটির পর তাদেরকে বিনা বেতনে পড়ানো হয়। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য এলাকায় কেউ যেন নিরক্ষর না থাকে।
আমতলী মডেল ফাউন্ডেশন- জয়েন্ট স্টক কোম্পানি কর্তৃক ‘আমতলী মডেল ফাউন্ডেশন’ নামে একটি
সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। যার নং জঅঔঝ- ৪০৩/২০১৬ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সমগ্র দেশ। এটি একটি অলাভজনক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এর ম‚ল লক্ষ্য হলো নৈতিক মূল্যবোধ সমন্মিত রেখে প্রশিক্ষণ এবং জনসেবামূলক কার্যক্রম সম্পাদন করা। এই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মীর লিয়াকত আলী।
তহবিলের উৎস সদস্যদের চাঁদা, দান-অনুদান। সদস্য হওয়ার নিয়ম সাধারণ সদস্যদের জন্য ভর্তি ফি ২০০০ ও বার্ষিক চাঁদা ১০০০ টাকা। এককালীন সদস্যদের জন্য ১০,০০০ টাকা বা তার সমপরিমাণ সম্পদ দান।
আমতলী সমাজ কল্যাণ সংস্থা- আমতলী সমাজ কল্যাণ সংস্থা একটি বেসরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত। যার নং- ১৭০৯/১৭। এই সংস্থার মূল লক্ষ্য নৈতিক মূল্যবোধ সমন্মিত রেখে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং জনসেবামূলক কার্যক্রম সম্পাদন করা। এছাড়া অন্য যে কোন উপায় বা সেবাদানের মাধ্যমে বিশেষ করে
পল্লী অঞ্চলের মানুষের সুষ্ঠু উন্নয়ন ও বিকাশে সহায়তা করা। এই কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর লিয়াকত আলী।
মীর লিয়াকত আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি মীর লিয়াকত আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি
ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক আবুুল খায়ের, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী, পিটিআই সুপার মোজাহিদুল ইসলাম, নির্বাহী অফিসার আমিনুর রহমান ও শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল হক ও মোস্তাফিজার রহমানসহ জেলার শিক্ষা অফিসারবৃন্দ। সরকারের ১৫০০ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় প্রতিষ্ঠিত এই স্কুল উদ্বোধনীতে
সভাপতিত্ব করেন মীর লিয়াকত আলী।
আমতলী সাংস্কৃতিক একাডেমি- আমতলী সাংস্কৃতিক একাডেমি মূলত: আমতলী মডেল স্কুলের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এটি শিশু-কিশোরদের মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় উদ্ভদ্ধ করে বাঙালী জাতীয়তাবাদের লক্ষ্যে সুস্থ শিল্প-
সাহিত্য এবং সংস্কৃতি চর্চার প্রসারে অবদান রাখছে।
একাডেমিতে আপাতত: শেখানো হচ্ছে সংগীত, নৃত্য, তবলা, ড্রইং ও আবৃত্তি। একটি পরিচালন কমিটির মাধ্যমে আমতলী সাংস্কৃতিক একাডেমি পরিচালিত হয়। কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর লিয়াকত আলী।
Leave a Reply