স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রায় দশ বছর থেকে বসবাসের জন্য নতুন ব্যারাক নির্মাণ ও পুরাতন ব্যারাক মেরামত না করায় নিরাপত্তাবাহিনীর ঈশ্¦রদীর তিন শাখার ১’শ ১ জন সদস্য মহা-সমস্যার মধ্যে বসবাস করছেন। একইভাবে পাকশী বিভাগীয় প্রধান সিআরএনবির অফিসটি মেরামত বা নতুন করে নির্মাণ না করায় নানা অসুবিধার মধ্যে কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব পালন ও দাপ্তরিক কাজ করতে হচ্ছে । সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার নতুন ব্যারাক নির্মাণ,বিভাগীয় অফিস নির্মাণ বা মেরামত ও পুরাতন ব্যারাক মেরামতের জন্য পত্র মাধ্যম আবেদন করেও কোন কাজ হয়নি।
ফলে নিয়মের অতিরিক্ত ডিউটি করার পরও বাধ্য হয়ে সদস্যদের গরু ছাগলের গোয়াল ঘরের চেয়েও নি¤œমানের পরিত্যক্ত বাসায় বসবাস করতে হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে। রেলওয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানাগেছে, নিরাপত্তাবাহিনী রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনী । এই বাহিনীর সদস্যরা রেল সম্পদ রক্ষা, স্টেশন ইয়ার্ড ও স্টেশন ইয়ার্ডে অবস্থান করা বিভিন্ন রকম ট্রেন ও ট্রেনের মালামাল পাহারা দেওয়া,যাত্রীদের নিরাপত্তা প্রদান,মালবাহী ট্রেনের স্কট ডিউটি করা, উচ্ছেদ ও টিকিট চেকিং অভিযানসহ নানাভাবে দায়িত্ব পালন করেন। চোর ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ নানা ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে। অথচ এই বাহিনীর সদস্যদের ডিউটি শেষে বিশ্রাম করা বা বসবাসের জন্য কোন ব্যারাক নেই। বর্তমানে নিরাপত্তাবাহিনীর ঈশ্বরদী জেনারেল শাখা,অস্ত্র শাখা ও গোয়েন্দা শাখার ১’শ ১ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বেশীরভাগ সময়ই তাদের অতিরিক্ত দুই/তিন শিপ্ট করে ডিউটি করতে হয়। একদিকে লোকবল সংকটের কারণে নানা ঝুঁকির মধ্যেও অতিরিক্ত দুই/তিন শিপ্ট করে ডিউটি করতে হয়। যদিও দেশের অন্যান্য সকল সুশৃংখল বাহিনীর ঝুঁকিভাতা ও রেশনিং চালু থাকলেও এই বাহিনীতে ঝুঁকিভাতা ও রেশনিং চালু করা হয়নি অদ্যবধি। বিমাতা সুলভ আচরনের শিকার হয়েও এই বাহিনীর সদস্যদের অমানবিকভাবে দুই/তিন শিপ্ট ডিউটি শেষে বিশ্রাম নেওয়া ও রাত্রী যাপনের তিনটি ব্যারকও অতি নিম্ন মানের। ঐসব ব্যারাকের দরজা-জানালা ভাঙ্গা,গোসলখানা নেই,টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী,রান্না ঘর নেই বললেই চলে । যা আছে তাও গরু ছাগলের গোয়াল ঘরের চেয়েও নি¤œমানের। বাধ্য হয়েই তাদের ঐসব গোয়াল ঘরেই থাকতে হয়। শুধুকি তাই, ঈশ্বরদী অস্ত্র শাখার অফিস ও পাকশী বিভাগীয় কর্মকর্তার (সিআরএনবির) অফিসটির অবস্থাও তথৈইবচ ! দীর্ঘদিনের পুরাতন টিনসেডে পাকশী বিভাগীয় অফিস এবং ধারকরা পরিত্যক্ত বিল্ডিং এ অস্ত্র শাখার অফিসটির অবস্থা খুবই নাজুক। সামান্য বৃষ্টিতে পানি পড়ে ফাইল পত্র নষ্ট হয়। ছাঁদের প্লাস্টার ভেঙ্গে আহত হতে হয় কর্মকর্তা-সদস্যদের। যে কোন সময় বড় কোন দূর্ঘনা ঘটলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবেনা।
Leave a Reply