নাজিয়া হক অর্ষা একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী ও মডেল। ১০০ টিরও বেশি টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র ও টেলিফিল্মেও অভিনয় করেছেন। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৯ তৃতীয় রানার-আপ বিজয়ী হন।লাক্স চ্যানেল সুপাস্টার ২০০৯ মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে টিভি নাটক,টিভি সিরিয়াল,ওয়েব সিরিজ,চলচ্চিত্র, বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন।
নিজের বিয়ের কথা আর গোপন রাখলেন না অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা।মাত্রই মাস চারেক আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিনি। তার বরের নাম মোস্তাফিজুর নূর ইমরান। কাজ করতে গিয়েই ইমরানের সঙ্গে পরিচয় ঘটে এবং সেটা বন্ধুত্ব পেরিয়ে প্রেমে রূপ নেয়। এরপর দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে গত বছরের অক্টোবরে বিয়ে করেন তারা।
এতদিন কিছু না বললেও রবিবার সকালে দুজনের বিয়ের ছবি প্রকাশ করে সুখবরটি জানান অর্ষা। এই লাক্স তারকা বলেন,বিয়ে করলেও এই আনন্দের খবরটি জানানোর মতো পরিস্থিতিতে ছিলাম না। কারণ,আপনারা জানেন,আমার মা অনেকদিন ধরে ভীষণ অসুস্থ। গেলো বছর মায়ের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। অনেকদিন আইসিউতে ছিলেন। উনার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। কিছুদিন একটু ভালো থাকলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন,হাসপাতালে নিতে হয়। এসবের মধ্য দিয়েই আমাকে যেতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,বলতে পারেন,বিয়েটা অনেক মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে করতে হয়েছে। দুই পরিবার থেকেই সবার সম্মতিক্রমে বিয়েটা হয়েছে। সবাই চাচ্ছিলেন আপাতত কাবিন হয়ে যাক,পরে না হয় অনুষ্ঠান করা যাবে। মায়ের দিক চিন্তা করেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া। পরিবারের সবাই চাচ্ছিলেন।
ইমরানের সঙ্গে অর্ষার পরিচয় তিন বছরেরও বেশি সময়ের। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয় বলে জানান অর্ষা। এরপর তাদের মধ্যে প্রেম। অর্ষা বলেন,২০২০ সালে আমাদের পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে বেশ কিছু কাজ করেছি। দুই বছর পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কটা শুধু বন্ধুত্ব পর্যন্তই ছিল। আমাদের প্রেমটা খুবই অল্প সময়ের। আমি যখন আমার মাকে নিয়ে দিশেহারা ঠিক সেসময় আমার সাপোর্ট হয়ে পাশে থেকেছে ইমরান। সে সরাসরি আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
মায়ের অসুস্থতা,সবকিছু মিলিয়ে আমি এখনই সেরকম কিছু চাচ্ছিলাম না। কিন্তু যেহেতু আমাদের দুই পরিবারেই চেনা এবং জানা – শোনা আছে। তাই সবার সম্মতিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। একজন জীবনসঙ্গী হওয়ার মতো সব গুণই আমি তার মধ্যে পেয়েছি,সেও নিশ্চয়ই তাই। এই কারণেই কিন্তু আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন এবং অবশ্যই আমার মায়ের জন্যও।
Leave a Reply