এ ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত দুদিন আগে ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে আসে। বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার জন্য চাপ দিলে সে মাদ্রাসায় যেতে অস্বিকৃতি জানায়। পরিবারের চাপের মুখে এক পর্যায়ে ছাত্রটি তার মাকে সাথে নিয়ে থানায় গিয়ে বিচার পার্থনা করেন।
তার মা বিষয়টি বুঝতে না পেরে সন্তানকে বাড়ি ফিরে নিয়ে আসতে চান। কিন্তু সন্তান মাকে নিয়ে মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে গিয়ে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলে।
ঘটনা জানাজানি হলে ওই শিক্ষক মাদরাসা ছেড়ে পালিয়ে যায়। গত বুধবার (৭ই এপ্রিল) শিশুটির বাবা বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ঐ মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাত্তার মিয়া জানান, এই ঘটনায় ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সুলতান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, ঐ ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply