অনলাইন ডেক্স।। বাংলাদেশের জনপ্রিয় চলচিত্র অভিনেত্রী পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন তিনি নিজেই। এবং নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন বলেও জানান পরীমনি।
রোববার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় পরীমনি নিজে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে প্রথম এই অভিযোগ তুলে ধরেন। এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি খোলা চিঠি লেখেন। সাংবাদিকরা জানার পরে যোগাযোগ করলে তিনি তৎক্ষণাৎ তার নিজ বাসায় একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরীমনি বলেন, ‘গত চারদিন ধরে একজন সাধারণ মেয়ে হিসেবে আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কিন্তু কারো হেল্প পাইনি। সবাইকে বলেছি, আমি সুইসাইড করার মতো মেয়ে না। যদি আমি মরে যাই, মনে করবেন আমাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আর আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা আমার হত্যার বিচার করবেন। ’
এর আগে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানান, নাসির ইউ. মাহমুদ নামে একজন তাকে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে এ ঘটনা ঘটাতে চেষ্টা করেছিলেন।
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার কস্টিউম ডিজাইন করেন জিমি, আমাদের কাজের বাইরেও পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তার মাধ্যমে অমির সঙ্গে আমার পরিচয়। উনি বাসায় আসেন চারদিন আগে (ঘটনাটির দিন রাতে)। এর আগে সিনেমার ব্যাপারে মিটিংয়ের জন্য ডেট চাচ্ছিল কিন্তু আমি সময় দিতে পারছিলাম না। আমার নানু কয়েকদিন আগে অসুস্থ ছিলেন সেটা আপনারা জানেন। ’
পরীমনি আরও বলেন, ‘গত বুধবার রাত ১২টায় আমাকে বিরুলিয়ায় নাছির ইউ. মাহমুদের কাছে নিয়ে যায় অমি। সেসময় নাছির ইউ. মাহমুদ নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানে নাছির ইউ. মাহমুদ আমাকে মদ খেতে অফার করে। আমি রাজি না হলে আমাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আমাকে চড় থাপ্পড় মারে। তারপর আমাকে নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টা করেন। অমিও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ’
এরপর তিনি সাংবাদিকদের সামনে জানান, নিজের জীবন নিয়ে তিনি এখন শঙ্কায় রয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এমন অপ্রীতিকর ঘটনা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না এই অভিনেত্রী পরীমনি। তাই তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
Leave a Reply