আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। জম্মু-কাশ্মীর নেতাদের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে আজ বসতে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতশাসিত কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা অর্থাৎ ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই প্রথম উপত্যকার নেতাদের নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে বসছেন মোদি ।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে এই বৈঠকে ১৪ জন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে উপস্থিত থাকার জন্য। এদের মধ্যে রয়েছেন, মেহবুবা মুফতি, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী কবীন্দ্রর গুপ্ত ও জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপির প্রধান রবীন্দ্র রায়না। তাদের অনেকেই বুধবার রাতেই দিল্লি পৌঁছেছেন। বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে জম্মু-কাশ্মীরে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচন, করানো প্রসঙ্গ উঠে আসতে পারে আলোচনায়। ২০১৮ সালে মেহমুবা মুফতি ও পিডিপি সরকারের পতনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত নির্বাচিত সরকার গঠন করা হয়নি সেখানে। জম্মু কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পর সেখানে রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করা হবে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা ভোট চালুর বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।
আজকের বৈঠকের আগে বুধবার বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। জম্মু কাশ্মীরের ভোট নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। এতে জম্মু কাশ্মীরের ২০ জন ডেপুটি কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন। বিধানসভা কেন্দ্রগুলোর বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দ্বারা পরিচালিত প্রশাসনিক সমস্যাগুলো নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতশাসিত কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করে পূর্বতন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য পুরোপুরি মুছে ফেলে একে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীর নামে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।এর জেরে সেখানে দীর্ঘদিন সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যকলাপ যেমন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তেমনই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শিক্ষা থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন সবকিছুই। বাতিল হয়ে যাওয়া ৩৭০ ধারায় জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল, তা ছাড়া পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে কাশ্মীরের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ ছিল এতে। কিন্তু ভারতে বর্তমানে ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির নির্বাচনী ওয়াদা ছিল এটা বাতিল করা।
Leave a Reply