1. admin@sadhinotarkontho.com : admin :
  2. akter.panna.1@gmail.com : akter.panna.1 :
  3. mdashrafishurdi@gmail.com : Ashraful Abedin : Ashraful Abedin
  4. masud@sadhinotarkontho.com : masud :
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সকল প্রয়াত ব্যক্তিসহ মুসলিম জাহানের উম্মার শান্তি কামনায় ঈশ্বরদী উপজেলা প্রেসক্লাবে কোরআন খতম,ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে চাটমোহরের ওসির নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র ও প্রায় সাড়ে ছয় কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী রুবিয়া খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঈশ্বরদীর ক্যান্সার রোগী লায়লা আঞ্জুমান বানু যা বললেন ঈশ্বরদীর মুলাডুলিতে দেশের প্রথম পাঠকমেলা অনুষ্ঠিত।। পাঠক সৃষ্টির মাধ্যমে বসবাসযোগ্য সুস্থ্য সমাজ গঠন সহজ হয় —- হাবিব   ঈশ্বরদীতে    উপজেলা প্রেসক্লাবের  সভাপতি তৌহিদ আক্তার পান্না উদ্বোধন করলেন এম,আর.এস.সুজ গ্যালারীর পাবনা জেলার সবচেয়ে বড় ও আধুনিকমানের শহীদ মিনারের উদ্বোধন করা হয়েছে পাকশীতে সুষ্ঠভাবে ট্রেন চলাচলে পাকশী রেলওয়ে বিভাগের ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন থেকে আজিমনগর স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ফিটিংস চুরি ও মানুষ চলাচল বন্ধ হওয়া জরুরি ঈশ্বরদীর মুলাডুলি দারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষের আর্থিক অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য,স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অনিয়মের সুষ্ঠ বিচার,চাকরীচ্যুতি ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন,সমাবেশ অনুষ্ঠিত সকলের অনুষ্ঠান সকলে মিলে করব-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম।্ বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজের পঁচাত্তর বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষে মহাসমারহে বাস্তবায়নের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত প্রাক্তনীরা যে কোন কঠিন কাজ ঐক্যবদ্ধভাবে করলে সে কাজের ফলাফল ভাবে হয় —-সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম সরদার।

নতুন ভূতাত্ত্বিক যুগে পৃথিবী

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৫৪৪ বার দেখা হয়েছে

ডেস্ক প্রতিবেদন : পৃথিবীতে মানবজাতির প্রভাব এখন এতটাই প্রগাঢ় রূপ ধারণ করেছে যে অ্যানথ্রোপোসিন নামের নতুন ভূতাত্ত্বিক যুগ ঘোষণা করার সময় এসেছে। আর সেই যুগকে সংজ্ঞায়িত করা হবে, পারমাণবিক বোমার তেজষ্ক্রিয়তা ও বিভিন্ন দূষণ ছড়ানোর মতো মানবসৃষ্ট কারণের ভিত্তিতে। ২০২২ সালের ২৯ এ আগস্ট কেপ টাউনে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল জিওলজিক্যাল কংগ্রেসে নতুন ভূতাত্ত্বিক যুগ ঘোষণার জন্য এসব সুপারিশ করেছে একটি বিশেষজ্ঞ দল। তাদের মতে, ১৯৫০ সাল থেকেই অ্যানথ্রোপোসিন যুগের সূচনা হয়েছে বলে স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন।

বর্তমানে পৃথিবী যে ভূতাত্ত্বিক যুগটি পার করছে তার নাম হলোসিন। এ যুগে ১২ হাজার বছর ধরে জলবায়ু স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল। মানব সভ্যতা সমৃদ্ধ হওয়ার সময় অর্থাৎ প্লাইস্টোসিন যুগ পার হওয়ার পর হলোসিন যুগের শুরু হয়। তবে বিংশ শতাব্দির মাঝামাঝি থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গতকরণের ও সমুদ্রপৃষ্ঠের মাত্রা বেড়ে যাওয়া,বিশ্বের বিভিন্ন প্রজাতির বিলুপ্তি এবং বন ধ্বংস করে ভূমি তৈরির কারণে সে ভূতাত্ত্বিক যুগটির অবসান হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

অ্যানথ্রোপোসিন ওয়ার্কিং গ্রুপ নামের ওই বিশেষজ্ঞ দলের মতে, মানবজাতির প্রভাবজনিত ব্যাপ্তির কারণে নতুন যুগে প্রবেশ করতে পেরেছে পৃথিবী। উষ্ণ তাপমাত্রা, সাগরপৃষ্ঠের উচ্চ মাত্রা, জীবাশ্ম জ্বালানীর ছাই, প্লাস্টিক ব্রজ্য, অস্বাভাবিক মাত্রায় ভূমিক্ষয় বৃদ্ধি, বিশ্বজুড়ে পশু প্রজাতি ছড়িয়ে পড়া এবং পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে পড়া তেজষ্ক্রিয়তা-সবকিছু মিলে পৃথিবীর শিলায় স্থায়ী পরিবর্তন নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে,পৃথিবী এত গভীরভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এখন হলোসিনকে সরে গিয়ে অ্যানথ্রোপোসিনকে জায়গা করে দিতে হবে। পৃথিবী যে এরইমধ্যে নতুন একটি যুগে প্রবেশ করেছে তা নিয়ে সর্বপ্রথম ২০০০ সালে পল ক্রুটজেন ও ইউজিন স্টোয়েরমার নামের দুই বিজ্ঞানী ধারণা দেন। এরপর তা নিয়ে জোরেশোরে গবেষণা শুরু হয়। কবে থেকে এ যুগের সূচনা হলো তা নির্ধারণের চেষ্টা করেন বিশেষজ্ঞরা। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করেছেন যেন ১৯৫০ সাল থেকে অ্যানথ্রোপোসিন যুগের সূচনা ঘোষণা করা হয়।

ইউনিভার্সিটি অব লিচেস্টারের ভূতত্বের অধ্যাপক জ্যান জালাসিউইজ বলেন, ‘অ্যানথ্রোপোসিনের বিশেষত্ব হলো, এটি পৃথিবীর সিস্টেমে ভিন্ন ভিন্ন আবক্র পথ তৈরি করে যার অংশ আমরাও। যদি আমাদের সুপারিশ গ্রহণ করা হয় তবে সে অনুযায়ী যে সময়কে অ্যানথ্রোপোসিনের সূচনাকালীন সময় বিবেচনা করা হবে তার কিছুদিন আগেই আমার জন্ম। আমরা আমাদের জীবনের বেশিরভাগ সময়ই অ্যানথ্রোপোসিনে কাটিয়ে অতিবাহিত করে ফেলেছি এবং মাত্র পরিবর্তনের মাত্রা ও স্থায়িত্ব উপলব্ধি করছি। রিচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্কিং গ্রুপের সুপারিশের ব্যাপারে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অ্যানথ্রোপোসিনের ধারণাটি ভূতাত্ত্বিকভাবে বাস্তবসম্মত।

ব্রিটিশ জিওলজিক্যাল সার্ভের প্রধান ভূতাত্ত্বিক কলিন ওয়াটারস বলেন,কালান্তরকে নির্ধারণ করতে পারার মানে হলো আমাদের গ্রহের পরিবেশের ওপর আমাদের যে অবিশ্বাস্যরকমের প্রভাব রয়েছে তার সম্পর্কে বলতে পারা। অ্যানথ্রোপোসিনের ধারণাটির মধ্য দিয়ে পরিবেশগত পরিবর্তনের সব ধারণাকে একসঙ্গে তুলে ধরা যায়।

তবে সমালোচকদের কেউ কেউ অ্যানথ্রোপোসিন নিয়ে বিজ্ঞানীদের মাতামাতির ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। তারা বলছেন,অ্যানথ্রোপোসিনকে স্বাগত জানানোর কিছু নেই। বরং এতে আতঙ্কিতই হওয়া প্রয়োজন।

নেচার সাময়িকীতে লেখা এক নিবন্ধে নীতিশাস্ত্র-লেখক ক্লাইভ হ্যামিল্টন বলেন,শুরুতে আমি ভেবেছিলাম তারা এ নিয়ে বিদ্রুপ করছেন। কিন্তু এখন আমি বুঝতে পারছি তারা তা করেননি এবং এটাই ভীতিকর। অ্যানথ্রোপোসিনের ধারণাকে স্বাগত জানানোর কিছু নেই। এ ধারণা আমাদেরকে ভীতই করা উচিত। বিজ্ঞানীদেরও উচিত জনগণের কাছে তা তেমন করেই উপস্থাপন করা।

ইন্টারন্যাশনাল জিওলজিক্যাল কংগ্রেসে বিশেষজ্ঞদের উত্থাপিত সুপারিশগুলোর সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব জিওলজিক্যাল সায়েন্স কর্তৃপক্ষ একমত পোষণ করলে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যানথ্রোপোসিন যুগের ঘোষণা দেওয়া হবে। নতুন এ যুগের বর্ণনা টেক্সট বইয়েও ঠাঁই পাবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট