এসআই টিটুল: আমি আসলেই একজন গন্ডমুর্খ রিক্সা চালক,মাদক ব্যবসায়ী না। আমার পরিবারকে বাঁচাতে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চাই। শুক্রবার রাতে কাঁদো কাঁদো স্বরে সাংবাদিকদের কাছে এই আবেদনটি করেছেন,একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মাদক মামলায় যাবতজীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত ও পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত গরীব ও অসহায় আব্দুর সালাম। সে ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের মাজদিয়া ইসলাম পাড়ার মৃত মেহের আলীর ছেলে ও পেটের দায়ে বনে যাওয়া অসহায় রিক্সাচালক ।
ঈশ্বরদী থানার এসআই আব্দুল বারী জানান, প্রায় উনিশ বছর পলাতক থাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।তিনি জানান,২০০৫ সালে ঈশ^রদী থানার একটি মাদক মামলায় (জি,আর মামলা নং- ১৪০/২০০৫ ) আব্দুর সালামকে বিজ্ঞ আদালত যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করলে সে পলাতক থাকে। গ্রেফতারকৃত আব্দুর সালাম সাংবাদিকদের জানান,আমি গরীর ও গন্ড মুর্খ হয়ে সংসার এর বোঝা বহনের লক্ষ্যে রিক্সা চালাতে থাকি। এমনাবস্থায় একদিন একটি ব্যাগ সমেত ঈশ্বরদী বাজার থেকে এক মহিলা যাত্রীকে রিক্সায় নিয়ে পোস্ট অফিস মোড়ে পৌঁছায়।
এ সময় পুলিশ অসতে দেখে ঐ যাত্রী তার ব্যাগটি রেখে আমাকে ভাড়া না দিয়েই রিক্সা থেকে লাফদিয়ে পালিয়ে যায়। তখন পুলিশ এসে ব্যাগটি তল্লাশি করে কিসের যেন কিছু বোতল পায়। এসময় আমি হাজারো কাঁকতীমিনতি করলেও আমার কথা কেউ শোনেনি। উল্টো আমাকেই ধমক দিয়ে বকাবকি করা হয়েছে। আমাকে আটক করে আমার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দিয়ে আমাকে পাবনা কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়। আমি আসলেই একজন গন্ডমুর্খ রিক্সা চালক,মাদক ব্যবসায়ী না।এলাকার মানুষ সবাই আমাকে ও আমার পরিবারকে ভাল মানুষ হিসেবে যানে ও চিনে। গরীব ও অসহায় মানুষের কথা কেউ শোনেনা,তাই আমার পরিবারকে বাঁচাতে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চাই।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ধরা হয়েছে তা সঠিক। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে#
Leave a Reply