স্টাফ রিপোর্টার।। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে নদী ভাঙ্গন আতংক দেখা দিয়েছে।স্বাধিণতার পর থেকে বর্ষা মৌসুমে এই নদীতে প্রতি বছর পানি বৃদ্ধির কারণে প্রায় এক হাজার পরিবার, মসজিদ, মন্দির, খেলার মাঠ, আবাদি জমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। শত শত পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্রে চলে গিয়ে নতুন করে বসতি গড়ে তুলেছে। পাল পাড়ার অনেক পরিবার পৈত্রিক পেশা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। সংকুচিত হয়েছে এলাকার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ীর চাকা তৈরী শিল্পের। এবারের নদী ভাঙ্গনের ফলে সাঁড়ার নদীর তীর সংরক্ষন বাঁধ ও লালনশাহ সেতু সংরক্ষন বাঁধ অনেকটা হুমকির মধ্যে পড়েছে। নদী পাড়ের বসতীদের আশংকা পানির তীব্রতা বৃদ্ধি হলে বাঁধটি যে কোন সময় মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়তে পাড়ে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এবার বর্ষার শুরুতেই নদীর বাঁধের সীমানার কাছে ভাঙ্গন এগিয়ে এসেছে। এ কারণে নদীর তীরবর্তী বসতীরা আতংকিত হয়ে পড়েছে। তারা নানা শংকার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছেন। ব্লক পাড়া ও থানা পাড়া এলাকায় এক সপ্তাহের মধ্যে ভাঙ্গন দেখা
দিয়েছে। এরই মধ্যে পানির তীব্রতায় প্রায় দশ বিঘা ধানের জমি নদীতে তলিয়ে গেছে। নদী পাড়ের বসতীরা জানান, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে দেশের বিভিন্ন নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে পাকশী পদ্ম নদীতেও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বাড়ার কারণে ৫ নং ঘাটের সামনের সাঁড়াঘাটের নীচের প্রায় পঞ্চাশ বিঘা ধানের জমি পানির নীচে তলিয়ে গেছে।ব্যাংক পাড়ায় তৈরী চিতল মাছের
অভয়ারণ্যও পানিতে ভেসে গেছে।এলাকার মিজানুর রহমান জানান, বেশ কয়েক মাস আগে সরকারী উদ্যোগে সামান্য কিছু বালুর বস্তা ফেলে নদী ভাঙ্গনের চেষ্টা করা হলেও আজ তার কোন অস্তিত্ব নেই। সাঁড়া ব্লকপাড়ায় নদীর গলন বেশী হওয়ায় এখানেও ভেঙ্গেছে এবং কিছু জমি পানিতে তলীয়ে গেছে।
Leave a Reply