ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, সোমবার পুলিশের এই এলিট ফোর্সের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ না ম ইমরান খান বলেন, ‘‘র্যাব-১১ এর একটি দল নরসিংদীর শিবপুরের একটি বাসা থেকে সায়মাকে গ্রেপ্তার করে।’
‘র্যাব-১১ এর কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেনেন্ট তৌহিদুল মবিন খান বলেন, ‘মার্জিয়া আক্তার পেশায় ঘটক। তিনি শহরের উপজেলা মোড়ের একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া ফয়েজ আহমেদের স্ত্রী। একেক জায়গায় একেক নাম ব্যবহার করেন মার্জিয়া। শিলা ওরফে সায়মা নামে এলাকায় পরিচিত হলেও, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার নাম মার্জিয়া আক্তার। তরুণীকে হেনস্তার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ঘন ঘন বাসা পরিবর্তন করেন। মোবাইলের নম্বরও পাল্টান কয়েকবার। একাধিকবার স্থান ও নম্বর পরিবর্তনের কারণে তাকে গ্রেফতারে সময় লেগেছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলেন এক তরুণী ও তার দুই বন্ধু। এরই মধ্যে জিন্স ও টপস পরা নিয়ে স্টেশনে অপেক্ষারত এক নারীর সঙ্গে ওই তরুণীর বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাকে হেনস্তা করেন ওই নারী। তরুণীর সঙ্গে থাকা দুই তরুণ প্রতিবাদ করলে পাশ থেকে কয়েকজন যুবক এসে তাদের মারধর করে। পরদিন নেট দুনিয়ায় যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী ও কয়েকজন যুবক ওই তরুণীকে টানা-হেঁচড়া করছে। একপর্যায়ে কয়েকজন লোকের সহায়তায় মেয়েটি দৌড়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে ঢুকে যান।এরপর এক লোক কলাপ্সিবল গেট টেনে দেয়ায় কিছুক্ষণ পর লোকজন চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি শান্ত হলে ওই তরুণীকে তার কক্ষ থেকে বের করেন স্টেশন মাস্টার।আদালতের নির্দেশে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। ঘটনার তদন্তে নামে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। তারা স্টেশনের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ইসমাইল হোসেন নামে এক যুবককে শনাক্ত করে। আর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে ২০ মে আটক করে থানায় দেয়। পরে ইসমাইল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
Leave a Reply