স্টাফ রিপোর্টার ।। ঈশ্বরদী থানাধীন শেরশাহ্ রোড কাঠালতলায় জনৈক মিন্টুর বাসায় মোসাদ্দেকুর রহমান রাজু, পিতা পারভেজ আলী ঠিকানা বাসা এফ/২২ ব্লক ই, জাকির হোসেন রোড, মোহাম্নদপুর ঢাকা, ভাড়া থাকত এবং বাজারে একটি গার্মেন্টসের দোকানে ম্যানেজার হিসেবে চাকরী করত।তার ভাড়া বাসায় আদুরী নামে একজন কাজের মহিলা ছিল।কাজের মহিলা বিভিন্ন বাসায় কাজ করে যে আয় করত তার একটি অংশ রাজু কে দিয়ে ব্যাংকে রাখত।১৯/১/২২ তারিখ রাজু, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে আদুরীর সম্মতিতে ২৮০০০০/ টাকা তোলে এবং আদুরী আরও ২০০০০/ টাকা রাজু কে দেয় এবং বলে তিনলক্ষ টাকা আদুরীর নামে ন্যাশনাল ব্যাংকে এফডিআর করতে।রাজু আদুরীকে জানায় টাকা গুলো এফডিআর করা হয়েছে। পাঁচ সাত দিন আগে আদুরী, রাজুকে তার এফডিআর এর তিন লাখ টাকা তুলে দিতে বলে এবং একটি চেক দেয়।রাজু সেই চেক দিয়ে ১৩/৬/২২ তারিখ আদুরীর এ্যাকাউন্ট থেকে ৫০০০/ টাকা উত্তোলন করে।বেলা অনুমান ১১।০০ ঘটিকার সময় ব্যাংক থেকে তিনলাখ টাকা তুলে সাদা ব্যাগে নিয়ে শেরশাহ রোড আদুরীর বাসায় হেটে যাওয়ার পথে পিছন থেকে একজন মাথার পিছনে মলম জাতীয় কিছু দিয়ে অচেতন করে, তার নিকট থেকে তিনলাখ টাকা নিয়ে যায় বলে প্রচার করে এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তার আচরন ও কথা সন্দেহজনক হওয়ায় ন্যাশনাল ব্যাংকে খোজ নিয়ে দেখা যায় সে ১৩/৬/২২ তারিখ তিন লাখ টাকা উত্তোলন করে নাই।এমন কি আদুরীর নামে যে তিন লাখ টাকার এফডিআর করার কথা ছিল সেটাও করে নাই।সে আদুরীর নামে সোনালী ব্যাংকে দুই লাখ টাকার এফডিআর করার জন্য টাকা নিয়ে একলাখ টাকার এফডিআর করেছে।এভাবে সে আদুরীর ৪৬৫০০০/ টাকা আত্মসাত করে পরিকল্পিত ভাবে একটি ছিনতাই এর ঘটনা প্রচার করার চেষ্টা করেছিল। উক্ত ঘটানায় বাদী এজাহার দিলে ধৃত রাজুর বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানার পেনাল কোডের ৪০৬/৪২০ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। তার দেয়া তথ্য ও তার উপস্থাপন মতে তিন লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জেলা পুলিশ পাবনা এর ফেসবুক পেজ থেবে সংগৃহিত।
Leave a Reply