সমঝোতা চুক্তি হওয়ার পর শাহজাহান মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, পরামর্শকের সাথে এক কোটি ৫৬ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছে। এরপরের সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল ৫ লাখ ডলারের ওপর। কোন স্যাটেলাইট বাংলাদেশের জন্য উপযোগী, তা ঠিক করতে পিডব্লিউসি পর্যালোচনা করার পর তিন মাসের ভিতরে বিএসসিএলকে জানাবে।
আমাদের দ্বিতীয় স্যাটেলাইটটি ‘হাইব্রিড স্যাটেলাইট’ হতে পারে বলে জানিয়েছেন শাজাহান মাহমুদ। এই স্যাটেলাইটটি আবহাওয়া, নজরদারি ও নিরাপত্তা বিষয়ক কাজে ব্যবহৃত হবে। তবে এখনো যেহেতু ধরনটি ঠিক করা হয়নি, তাই দ্বিতীয় স্যাটেলাইটে খরচ কত হবে, এটি এখনো অজানা।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের পরামর্শক নিয়োগ করতে দরপত্র আহ্বান করার পর মোট ২১টি আবেদন জমা পড়ে। সেখান থেকে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্র জমা দিতে বলায় চারটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়। এর ভিতরে সর্বনিম্ন দরদাতা ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটার হাউসকুপার্সকে (পিডব্লিউসি) পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ১২ মে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইটের অভিজাত ক্লাবে প্রবেশ করে আমাদের দেশ। ২০২৩ সালের মধ্যে ২য় স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ হবে বলে জানা গেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল যুক্ত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
Leave a Reply