সংবাদদাতা।। রফিকুল ইসলাম নামে ১০ বছরের এক শিশু, তার ঠাঁই হয়নি আপন বড় ভাই ও ভাবির সংসারে। অনেক কান্নাকাটি করেও শিশুটি তাদের মন গলাতে পারেনি।
বাবা মা মারা যাওয়া মাত্র এক বৎসর হলো। এরই মধ্যে শিশুটি ভারী হয়ে উঠে ভাই ভাবির সংসারে। ঠাঁই হলোনা এই ছোট্ট শিশুটির তাদের সংসারে। বড় ভাই শফিকুল অজানার উদ্যেশে তাকে ট্রেনে তুলে দিয়ে দায় মুক্ত হয়। কিন্তু আল্লাহ্ সহায় তাই রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন শিশুটিকে রানীনগর ফিরিয়ে আনার সকল ব্যবস্হা করে ফেলেছেন। জানা গেছে প্রয়োজনে আইনি ব্যাবস্হা গ্রহন করবেন।
জানা যায়, রাণীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত বাদেশ মন্ডলের দুই ছেলে রফিকুল ও শফিকুল। বাবা মা হারানোর পর বড় ভাইয়ের সংসারেই থাকতো রফিকুল। বড় ভাই রাজ মিস্ত্রীর কাজের কারনে বাড়ি ছেড়ে উপজেলার শহরে বাসা ভাড়া করে থাকতো বউ আর ছোটো ভাই রফিকুলকে সাথে নিয়ে।
অভাবের সংসারে ছোটো ভাইকে নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। এবং স্ত্রী সবসময় মানুষিক ভাবে কষ্ট দিতো স্বামী শফিকুলকে।
এক পর্যায়ে স্বামী স্ত্রী মিলে শনিবার সকালে শিশুটিকে জোর করে তুলে দেয় অজানার উদ্দেশ্যে তুলে দেয় একটি ট্রেনে। ঐ দিনই রাত ১১টায় ট্রেনটি বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর স্টেষনে পৌঁছানোর পর শিশুটি স্টেষনে ঘুরাঘরি করছিলো। এ সময় এসএম হেলাল নামে এক ক্রীড়ানুরাগি তাকে দেখে নিজ হেফাজতে নিয়ে পরদিন বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানার কাছে হস্তন্তর করেন। পরে নাম ঠিকানা জেনে রাণীনগর ইউএনও আল মামুনকে জানালে তিনি শিশুটিকে ফিরিয়ে আনার সকল প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন।
Leave a Reply