স্টাফ রিপোর্টার ।। বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন নির্বাচনী আপীল বিভাগ। পাবনার জেলা প্রশাসক ও আপীল বিভাগের চেয়ারম্যান কবীর মাহমুদ শনিবার আফজাল হোসেনের প্রার্থীতা বৈধ এবং আরেক প্রার্থী রানু বেগমের আবেদন না মঞ্জর করেন। পাবনার জেলা প্রশাসক ও আপীল বিভাগের চেয়ারম্যান কবীর মাহমুদ এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় নেতাকর্মিরা জানান, আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় এবং জনদরদি ও দানশীল নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থাকা অবস্থায় ২০০৩ সালে বিপুল ভোটে বেড়া উপজেলার রূপপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ২০০৮ সালে বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ২০৪ ভোটে পরাজিত হন।
সুত্র জানায়, রূপপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম আফজাল হোসেনের। তিনি ঢাকায় নানা ব্যবসায় জড়িত থাকলেও এলাকার মানুষের সুখ দুখে পাশে থাকতে বেশী ভালবাসেন। এ জন্য চক্রান্তের অংশ হিসেবে তার নামে হত্যা মামলাও দেওয়া হয়। তবে ষড়যন্ত্রমূলক ঐ হত্যা মামলায় জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরলে মানুষজন আফজাল হোসেন কে বিপুল গণসংবর্ধনা দেন। এখন এখন প্রতিদিনই বেড়ার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তিনি গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বেড়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়কসহ বিভিন্ন পদে ছিলেন আফজাল হোসেন। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত কৃষকলীগৈর কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে তিনি দক্ষতার সঙ্গে রূপপুরের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ চেয়ারম্যান সমিতির কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাশুমদিয়া ভবানীপুর হাইস্কুল গভার্নিং কমিটির সভাপতি এবং মাশুমদিয়া কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। আফজাল হোসেন বলেন, এবার মানুষজন তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
Leave a Reply