স্টাফ রিপোর্টার।। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ পেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিজবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড.মোঃ সুলতান-উল-ইসলাম টিপু।
সাবেক রাবির ভিসি আব্দুস সোবাহানের দূর্ণীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করার জন্য তাঁকে এই পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
শিক্ষামন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নূর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। আগামী ১৭ জুলাই থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ (সংশোধিত আইন, ১৯৯৯) এর ১৩ (১) ধারা অনুসারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ সুলতান-উল-ইসলাম-কে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য পদে ৬টি শর্তে ৪ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন শেষে উক্ত মেয়াদের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করবেন।
শর্তগুলো হলোঃ- উপযুক্ত পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি (৩০)। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি ও আইন দ্বারা নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করবেন।
এ নিয়োগ আগামী ১৭ জুলাই ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ হতে কার্যকর হবে; এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে তিনি ২০১৫-১৮ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ইনিস্টিউটের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১০ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের প্যানেলে রাবি শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ এবং ২০১২ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৩-১৬ এবং ২০১৬-১৯ সাল পর্যন্ত যথাক্রমে রাবি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত সিনেট সদস্য ছিলেন। অধ্যাপক টিপু রাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু সমাজ-সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ছিলেন। রাবির বরেন্দ্র জাদুঘর, বুদ্ধিজীবী চত্বর, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
তিনি নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও শিক্ষিত পরিবারে ১৯৬১ সালের ৪ঠা মার্চ জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতা ও মাতার নাম যথাক্রমে ইব্রাহিম সরকার ও মরিয়ম। এবং তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন সন্তান। ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের থাকা খাওয়া ও বিশ্রামের ব্যাবস্হা ছিলো তাঁর বাড়িতে। তাঁর বড় দুই ভাই সোবাহান সরকার ও ইদ্রিস আলি সরকার অস্ত্র ধরেছিলেন ৭১ সালে পাক বাহীনির বিরুদ্ধে। বড় ভাই রাবির দর্শন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মরহুম ড,সোলাইমান আলি সরকার মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহীনির হামলায় গুরুতর জখম হন। অধ্যাপক টিপু নিজেও একজন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের চিন্তা চেতনার মানুষ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তিনি ছোটো বেলা থেকেই অত্যান্ত সৎ, মেধাবী এবং কঠোর পরিশ্রমী। এলাকাবাসী আরো জানান, তিনি কখোনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি এবং সবসময় ন্যায়ের পক্ষে থেকেছেন।
Leave a Reply