গত বছর সাইবেরিয়া থেকে মস্কোয় ফেরার পথে নাভালনিকে বিষ প্রযোগে হত্যার চেষ্টা করা হয়। বিষপ্রয়োগের কারণে নাভালনি কোমায় চলে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন।
জার্মানি থেকে গত ১৭ জানুয়ারি দেশে ফেরার পর মস্কো বিমানবন্দরেই তাকে আটক করা হয়। পরে সাজা স্থগিতের শর্ত লঙ্ঘনের জন্য মস্কোর একটি আদালত তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে। বর্তমানে তিনি কারাবাস করছেন।
রাশিয়া জুড়ে নাভালনির সমর্থকেরা তাঁর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করছে। এবং তাদের অভিযোগ প্রসিডেন্ড পুতিনের নির্দেশেই বিরোধী এই নেতাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল।
বিষ প্রযোগে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ অস্বিকার করেছে সরকার। এবং কারা বিষ প্রযোগে নাভালনিকে হত্যা করতে চেয়েছিলো এ ব্যাপারে তদন্ত করবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র অতি ত্রুত নাভালনির মুক্তির দাবী করেছে। কিন্তু রাশিয়া সরকার এ ব্যাপারে কর্ণপাত করছে না।
সে কারণে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার উপর নিষধাজ্ঞা জারি করছে। মনে করা হচ্ছে এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়নেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করকে পারে রাশিয়ার উপরে।
ইতিমধ্যে এই ঘটনা কে কেন্ত্র করে রাশিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের কুটনীতিকদের সে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে। এর জবাবে জার্মানি, পোল্যান্ড ও সুইডেন রাশিয়ার কুটনিমীতিকদের বহিষ্কার করেছে।
Leave a Reply