টিএ পান্না ।। যাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের মধ্যে আইনের বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং নানাভাবে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি করা ও রেলের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে রেলওয়ে পাকশী বিভাগের পক্ষ থেকে ঈশ্বরদীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংসন স্টেশনে অবস্থানরত বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর পাঁচটি ট্রেনে (আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেস,কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস,টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস,রুপসা এক্সপ্রেস ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন) ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নূর মোহাম¥দ ও রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দুই যাত্রীকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন যাত্রীকে জরিমানা ২৮ হাজার টাকাসহ ১লাখ ১৭ হাজার ৭’শ৪০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
পাকশী বিভাগীয় ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ নুরুজ্জামান খান জানান, ১৮৮৯ সালের রেলওয়ে আইনের বিনা টিকিটে যাত্রী পরিবহণ,মালামাল পরিবহণ,ট্রেনের মধ্যে অসদাচারণ করা,যাত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করা ও যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ পরিবেশে ভ্রমনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা ধারায় এইসব জেল জরিমানা ও রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান,গত অর্থ বছরে ভ্রাম্যান আদালত ও বিভিন্ন ভাবে টিকিট চেকিংসহ নানাভাবে রেলওয়ে পাকশী বিভাগে আয় হয়েছে 4’শ ৯০ কোটি টাকা। যা অতীতের রাজস্ব আয়ের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সমন্বয়ে গঠিত শক্তিশালী টিমের সকল সদস্যের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পাকশী বিভাগে রাজস্ব আয়ের এই রেকর্ড ভঙ্গ করা সম্ভব হয়েছে।
পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নূর মোহাম¥দ জানান,বিভিন্ন ট্রেনে গতানুগতি টিকিট চেকিং প্রগ্রাম করা হয়। মাঝে মধ্যে অফিসারের নেতৃত্বেও বিশেষ চেকিং ব্যবস্থা করা হয়। এক সময় রেলের বাণিজ্যিক বিভাগের বিচারিক ক্ষমতা ছিল তখন মোবাইল কোর্ট করে জেল জরিমানা করা হত। বর্তমানে বিচারিক ক্সমতা না থাকায় বিভাগীয় ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হওয়ার কারণে তাকেই দিয়ে মোবাইল কোট পরিচালনা করা হয়েছে।
Leave a Reply