স্কুলে ভর্তির জন্য লটারি পদ্ধতি ব্যবহার করলে মেধাবীরা পিছিয়ে পড়বে না। ভালো কোনো স্কুলে ভর্তির জন্য ভাগ্যের ওপর কিছুটা নির্ভর করতে হবে। বর্তমান মহামারি পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ঝুঁকিতে না ফেলতে লটারির মাধ্যমে স্কুলে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে এসব কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বুধবার (২৫ নভেম্বর) বিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১ম থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। আগের মতো স্কুলে ডেকে পরীক্ষা নেয়া হবে না। বিভিন্ন প্রস্তাবের ভিত্তিতে সময়োপযোগী লটারির মাধ্যমে ভর্তি পদ্ধতিকে বেছে নেয়া হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।লটারির মাধ্যমে ভর্তি হলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভালো স্কুলে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রত্যাশিত স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে কেউ কেউ রাগান্বিত হবেন। এক্ষেত্রে ভাগ্যের ওপর নির্ভর করতে হবে। তবে গুটিকয়েক স্কুলে ভর্তি হলেই মেধাবীদের সফলতা নির্ভর করে না। কীভাবে পড়ানো হচ্ছে সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০২২ সাল থেকে পাঠদান কার্যক্রম এবং কারিকুলামে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। তাই শুধু কয়েকটি সুনামধারী স্কুলে ভর্তি হতে পারলেই যোগ্যস্থান হয়েছে বলে মনে করা যাবে না। নামি স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য এক ধরনের উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। এ থেকে বের হতে হবে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একটি সাম্যের মধ্যে নিয়ে আসতে আমরা কার্যক্রম শুরু করছি। শিক্ষার্থী শুধু বই থেকেই নয়, পারিপার্শ্বিক থেকেও শিখবে। আর এই বয়সের শিক্ষার্থীদের মেধাবী হিসেবে গণ্য করা ঠিক না।’
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘১১-১২ বছরের শিশুদের মেধা নিরুপণ করা যায় না। ১৬ বছরের পরে এটা করা হয়। এর আগে তা করা হলে তা যৌক্তিক ও অনৈতিক। উন্নত দেশগুলোতেও এই পদ্ধতি অনুসরণ করে।’
উপমন্ত্রী আরও বলেন, তাই কেউ যদি গুটিকয়েক স্কুলে ভর্তি হতে না পারলে মেধাবীরা বঞ্চিত হয়েছে বলে, তা ঠিক না। এটা বলা হলে তাদেরকে আবারও পরীক্ষা ও বইয়ের বোঝা বয়ে বেড়াতে হবে। আমাদের এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
Leave a Reply