স্টাফ রিপো্রর্টার॥ ঈশ্বরদীর ঐতিহ্যবাহী সাঁড়া মাড়োয়ারী হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হতে না পেরে প্রায় ৪’শ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এই স্কুলে ডাবল শিফ্ট এ পাঠদানের ব্যবস্থা না থাকা এবং ঈশ্বরদী পৌর এলাকাতে ভাল মানের মাধ্যমিক স্কুল না থাকার কারণেই এই হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। ঈশ্বরদীর শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের বিষয়টি মাথায় রেখে সাঁড়া মাড়োয়ারী হাই স্কুলে ডাবল শিফ্ট এ পাঠদানের ব্যবস্থা গ্রহণের বিকল্প নেই। ইতিমধ্যে হতাশা গ্রস্থ অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ডাবল শিফ্ট এ পাঠ দান চালুর জন্য পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির পক্ষ থেকে গণ স্বাক্ষর করা হয়েছে। সাঁড়া মাড়োয়ারী হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের দেওয়া অভিযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।
সূত্রমতে, গত ১৬ ডিসেম্বর/২০ ইং তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে একই মাসের ৩০ ডিসেম্বর/২০ ইং তারিখে ষষ্ঠ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তির লটারী করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু হাই কোর্টের একটি নির্দেশনা মতে লটারী করা হয় ১১ জানুয়ারি/২১ ইং তারিখে। এতে স্কুলের ধারণ ক্ষমতানুযায়ি ও এক শিফ্ট পাঠদানের নিয়মে লটারীর মাধ্যমে ছেলে মেয়ে দিয়ে মোট ১৮০ জনকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। এ কারণে অবশিষ্ট ৪৩৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তারা লটারী সিষ্টেমকে মেধা ধবংসের প্রক্রিয়া বলে মন্তব্য করেন। এদিকে ভর্তি বঞ্চিত অভিভাবকদের চাপ ও নানা প্রকার বিরুপ মন্তব্যে অতিষ্ঠ স্কুল কর্তৃপক্ষ অসহায় হয়ে পড়েছেন। সূত্রমতে,১৯১৭ সালে ঝুনঝুন আগরওয়ালার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত উত্তরাঞ্চলের স্বনাম ধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রাখতে এবং ঈশ্বরদী অঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের বিষয়টি মাথায় রেখে স্কুলে ডাবল শিফ্ট পাঠ দানের ব্যবস্থা চালুর অনুমতি নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ডাবল শিফ্ট এ পাঠ দান চালুর পক্ষে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদেরও মত রয়েছে বলে সূত্রটি দাবি করেছে।
Leave a Reply