স্টাফ রিপোর্টার।। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক রেলপথ মন্ত্রীর নেতৃত্বে রেলকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত মানের রেল ব্যবস্থায় পরিণত করতে কিছু পয়েন্ট চিহ্নিত করন পূর্বক কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনমুখি রেল ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
শনিবার দিনব্যাপি নানা কর্মকান্ডে অংশ নেওয়ার আগে পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলপথ সচীব সেলিম রেজা এসব কথা বলেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে রেলপথ মন্ত্রনালয়ের উপ সচীব মাহবুব আলম উপস্থিত ছিলেন।
পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রায় ১৯৪ উপজেলা এলাকায় বিস্তৃত পশ্চিম রেলওয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাদের মধ্যে সিসি আরএনবি আসাবুল ইসলাম ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক(ট্র্যাক), অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী(ব্রীজ) লিয়াকত হোসেন এবং পাকশীর সকল বিভাগীয় প্রধান গণের মধ্যে ডিএন/২ আব্দুর রহিম,ডিসিও আনোয়ার হোসেন, ডিইও নুরুজ্জামান, ডিটিও নাসির উদ্দীন, ডিএমই লোকো আশিষ কুমার মন্ডল, ডিএমই ক্যারেজ মোমতাজুল ইসলাম, ডিইই রিফাত শাকিল, ডিএসটিই রাজিব বিল্লাহ, ডিইএন/১ বীরবল মন্ডল, ডিপিও আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সিআরএনবি মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রেলপথ সচীব আরও বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে নেওয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৫৫ টি স্টেশনকে আধুনিকায়ন ও এক’শটি স্টেশনকে মেরামত করে যাত্রীদের চাহিদা পূরণ করা হবে। রেলকে আরো কিভাবে গতিশীল করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা মুজিব বর্ষ পালন করেছি সেই মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আমরা কতগুলো বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি সেই উদ্যোগগুলোর ভেতরে একটি হলো রেলস্টেশনের অবকাঠামো অনেক পুরাতন এবং রেল স্টেশন গুলো অনেক নিচু । রেল চালানোর জন্য রেল ট্র্যাক অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারাদেশের স্টেশনগুলি যেখানে একটু খারাপ আছে সেগুলো চিহ্নিত করেছি এবং প্রায় ৮৫০ কিঃ মিটার ট্র্যাক এই বছরে সংস্কার করা হবে। একই সাথে হার্ডিং ব্রিজ এর বয়স হয়ে গেছে ১০৭ বছর এটা যথেষ্ট ভালো আছে এটা সংস্কার করা হবে।
আমাদের ট্রেন যাতে টাইম মতো যেতে পারে মানুষ যেটা চায় সঠিক ভাবে, সঠিক সময়ে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য আমার কর্মকর্তারা দক্ষতার সাথে সততার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে সেই সব বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে সে বিষয়েও অবগত হয়েছি। শেখ হাসিনা সরকার রেলের প্রতি অত্যান্ত আন্তরিক বলে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বাজেট দিচ্ছেন । আমরা ১৭ হাজার কোটি টাকা বাজেট পেয়েছি এবং এইসব কাজের কিভাবে বাস্তবায়ন করব সেটা নিয়েও আলোচনা করেছি। রেগুলার যে বাজেট আছে সেখান থেকে আমরা বাস্তবায়ন করবো। কাজের গুণগত মান যাতে ঠিক থাকে সেসব বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি । রেলকে আমরা একটা উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যেতে চাই । রেলের প্রতি মানুষের আকাঙ্ক্ষা আছে, মানুষ রেল ভ্রমণ করতে চায়, সবাই ভাল স্টেশন চাই, সবাই নতুন নতুন ট্রেন চাই । নতুন নতুন চাহিদা কিভাবে পূরণ করা যায় সেই বিষয় নিয়ে মত বিনিময় সভায় আলোচনা করেছি।
রেলপথ সচীব পরে পাকশী কন্ট্রোল রুম ও নিরাপত্তা বাহিনীর ট্রেনিং সেন্টার পরিদর্শন শেষে প্যারেড গ্রাউন্ডে সালাম গ্রহন করে সদ্য নির্মিত পাকশী রেল স্টেশন এলাকায় বৃক্ষ রোপন এবং রুপপুর পরমাণু প্রকল্প ও পাকশী কলেজ এলাকা পরিদর্শন করেন।
Leave a Reply