বরিশাল সংবাদদাতা।। ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালের অর্থপেডিক্স ও ট্রমা বিশেষজ্ঞ ডা. সিএইএস রবিন, তার স্ত্রী রাখি দাস এবং তাদের সহযোগী বাসু দেবসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতিতার নাম নিপা বাড়ৈ (১১)। গতছয় মাস আগে অভাবের কারণে ডা. সিএইএস রবিনর বাসায় কাজ নেয় নিপা। এর পর থেকে প্রায়ই ডাক্তারের স্ত্রী রাখি দাস নিপার উপরে অমানুষিক নির্যাতন চালাতে থাকে। কখনও গরম খুন্তির ছ্যাকা, কখনও ছুরির খোঁচা আবার কখনও দেয়ালে ঠোকা হতো তার মাথা। কখনও তার গলা চেপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করতো গৃহকর্তার স্ত্রী।
নিয়মিত নির্যাতনের কারনে নিপা গুরুতর অসুস্হ হয়ে পড়লে লোক মারফত গত ২৪শে জানুয়ারী তাকে তার গ্রামের বাড়ি উজিরপুর জামবাড়ি এলাকায় একটি দোকানের সামনে ফেলে রেখে যায়। পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে ঐ রাতেই উপজেলা স্বাস্হ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
পরদিন বৃহস্পতিবার শিশুটির স্বজনরা তাকে নিয়ে যেতে চাইলে অসুস্হতার কারনে ডাক্তাররা ছাড়পত্র দেইনি। কিন্তু তার স্বজনরা পরে তাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
এরপর শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শামসুদ্দোহা তৌহিদ উজিরপুুু থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে শনিবার (২৭শে ফেব্রুয়ারী) ভোর ৪টার দিকে পার্শ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার আশোয়ার গ্রামের জনৈক বিমলের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে শিশুটির চাচা তপন বাড়ৈ বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন দমন আইনে বরিশালের উজিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান।
নিপা বাড়ৈ (১১) উজিরপুরের জামবাড়ি এলাকার মানসিক প্রতিবন্ধী ননী বাড়ৈর মেয়ে। তার মা ২ বছর আগে অন্যত্র বিয়ে করে। ২ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে নিপা মেঝ।
Leave a Reply