কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা।। কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারিতে পুলিশের সহায়তায় নির্যাতিতা মা ফিরে পেলো তার দুধের কণ্যা শিশু মিতুকে।
গত সোমবার (২২শে মার্চ) রাতে ৫ মাস বয়সী মিতুকে তার বাবার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে তার মা নির্যাতিতা সাজেদা বেগমের (২৪) কোলে তুলে দিলো পুলিশ।
সাজেদা বেগম স্বামী, দেবর ও শ্বাশুড়ির নির্যাতনের শিকার হয়ে ঐ সময় চিলমারী উপজেলা হাসপাতালে চরম অসুস্হ অবস্হায় পড়ে ছিলেন।ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে ৯৯৯ এ ফোন দিলে স্হানীয় থানা পুলিশ শিশুটির বাবার বাড়ি থেকে দুধের শিশু মিতু কে উদ্ধার করে।
সাজেদা বেগমের স্বামী রফিকুল ইসলামের বাড়ি চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের রাজারভিটা গ্রামে। প্রায় ১০ বৎসর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ৫ মাস বয়সী মেয়ে মিতু ছাড়াও ৭ বৎসর বয়সী একটি মেয়ে ও ৪ বৎসর বয়সী একটি ছেলেও রয়েছে।
স্বামী রফিকুল ইসলাম নরসিংদী গার্মেন্টেসে চাকুরী করে। প্রায় তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয়ে কলহ বেধেই থাকতো। ঘটনার দিন ২১ শে মার্চ বিকেলে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী, দেবর ও শ্বাশুড়ি মিলে তাকে বেদম প্রহার করে। এতে সাজেদা বেগম চরম অসুস্হ হয়ে পড়লে সোমবার (২২ শে মার্চ) দুপুরে চিলমারী হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু পাষন্ড স্বামী দুই শিশু সহ দুধের শিশুটিকেও কেড়ে রাখে।
পরে হাসপাতালের অন্যান্যদের সহায়তায় ৯৯৯ এ ফোন করেন। এরপর স্হানীয় থানার এস আই আতাউর রহমান ও এস আই জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্হলে যান এবং স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন।
এলাকা বাসীর সুত্রে জানা যায়, স্ত্রী সাজেতা বেগম যখন হাসপাতালে পড়ে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে তখন পাষন্ড স্বামী রফিকুল ইসলাম সন্তানদের নিয়ে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
এ ব্যাপারে চিলমারী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ঘটনা সত্য সব কিছু পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সময় মতো পরিস্হিতি অনুযায়ী ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply