স্টাফ রিপোর্টার ঈশ্বরদী ॥ মাটি ভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক সহ ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের পদ্মা নদীর মাটি ও বালু লুটেরা সিন্ডিকেডের গড ফাদার কামাল উদ্দিন সহ তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঈশ্বরদী থানার বেরসিক অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান ও এসআই আতিক।
গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলো লক্ষিকুন্ডা ইউনিয়নের বিলকেদা গ্রামের মৃত আমির উদ্দিন প্রাং ছেলে রাজা প্রাং ও মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে জামিরুল ইসলাম।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার গভীর রাতে ঈশ্বরদী থানার বেরসিক অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম আতিক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লক্ষ্মীকুন্ডার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালান। ঈশ্বরদী থানা, রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ও এলাকা বাসীদের দেওয়া তথ্য সুত্রে এসব জানা গেছে।
সুত্রমতে, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পদ্মা নদী থেকে মাটি-বালু প্রকাশ্যে লুট করে লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে চরাঞ্চলের খাস জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৫৬টি ইটভাটায় বিক্রি করে আসছিল । একই ভাবে ঐ সব ইটভাটার মালিকরাও মাটি ও বালি চুরি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সরকারী খাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন সমতল ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে ও বালি তুলে বিক্রয় করছেন। এতে ব্যক্তিগতভাবে এই সিন্ডিকেট সদস্যরা কোটি কোটি টাকার মালিক হলেও সরকারকে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। সুত্র মতে, থানা পুলিশ ইতিপূর্বেও একাধিক অভিযান চালিয়ে ঐসব পয়েন্ট থেকে ১০/১২ টি ড্রাম ট্রাক, ট্রাক্টর, মাটি ও বালি কাটার এস্কেভেটর (বেকু) জব্দ করে অর্ধশতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও ১৫জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। কিন্তু আসামীরা জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও পদ্মানদী থেকে বেপরোয়া ভাবে মাটি কাটা ও বালি লুট শুরু করেছে।
সুত্রমতে বিষয় গুলো সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের জানা থাকলেও রহস্যজনকভাবে মাটি-বালু লুট এবং অবৈধ ইটভাটায় ইট তৈরী বন্ধ না হওয়ায় পুলিশ প্রশাসন এই অভিযান চালায়।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, গ্রেফতারকৃতরা পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি চুরি ও বালি উত্তোলন মামলার পলাতক আসামী ছিলো। তাদের গ্রেফতার করে পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অবৈধভাবে মাটি চুরি ও বালি উত্তোলন প্রতিরোধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply