অনলাইন রিপোর্টার ॥ বিইআরসির নির্ধারিত এলপি গ্যাসের দর অনেক ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিইআরসি আদেশ দিয়ে বাজার তদারকি না করায় ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা দাম আদায় করছেন নিজের খেয়াল খুশি মতো।
এক দোকানি বলেন, বেক্সিমকো তাদের গ্যাসের দাম কমায় নি। বেক্সিমকোর ১২ কেজি সিলিন্ডার ঈদের কয়েকদিন আগেও ৯৬০ টাকা দরে কিনে বিক্রি করছি ৯৮০ থেকে ৯৯০ টাকায়।
অন্যান্য সকল কোম্পানি ৯০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে। ওমেরা কিনেছি ৮৯০ টাকা, বিক্রি করছি ৯২০ থেকে ৯৩০ টাকা, বসুন্ধরা ৮৯০ কিনে বিক্রি করছি ৯৩০ টাকা, বিএম ৮৮০ টাকা কিনে বিক্রি করছি ৯১০ টাকা।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গত ২৮ এপ্রিল এলপি গ্যাসের দর ঘোষণা করে। বেসরকারি এলপিজির সিলিন্ডারের (১২ কেজি) দর ৯৭৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৯০৬ পুনঃনির্ধারণ করে। অটোগ্যাস লিটার প্রতি ৪৪.৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে পরবর্তী মাসের দর জানাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বিইআরসি। কমিশন, কোম্পানির প্রফিট, পরিবহন খরচ অন্যান্য খরচ অপরিবর্তিত থাকবে। শুধু সৌদি আরামকোর নির্ধারিত এলপিজির আমদানি মূল্য সমন্বয় করা হবে এতে।
প্রথম এপ্রিল মাসের জন্য দর ঘোষণা করা হয়। এরপর গ্যাসের দাম কমে গেলে মে মাসে দাম কমিয়ে দেয় বিইআরসি। চলতি মাসে আরও দাম কমে গেছে। যে কারণে আসছে জুন মাসে আরও দাম কমে যাবে বলে বিইআরসি সূত্র জানিয়েছে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল মে মাসের দর ঘোষণা অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বিগত মাসের ঘোষিত দর বাস্তবায়ন হয়নি এ কথা বলা যাবে না। সম্পুর্ণ বাস্তবায়ন হয়েছে এ কথাও বলা যাবে না। তবে হ্যাঁ কোনো কিছু বাস্তবায়ন করতে একটু সময় লাগে।
কমিশন একক প্রতিষ্ঠান নয়, এরসঙ্গে অনেক দপ্তর অধিপ্তর রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। প্রশাসনিক বিভাগ এবং আমরা আমাদের আইনি ক্ষমতা প্রয়োগ করবো। সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা আমাদেরকে সময় দেন অবশ্যই বাজার স্বাভাবিক করা হবে।
বিইআরসির গ্যাস (গ্যাস) মকবুল ই এলাহী চৌধুরী বলেন, আমারা প্রথমে গ্রাহকদের অনুরোধ করবো, তারা যেনো দোকানে গিয়ে প্রথমে সরকারি দরটা জানতে চান। বেশি দর হলে সুনির্দিষ্ট করে আমাদেরকে লিখে জানালে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি জনগণকে সচেতন হওয়ারও আহবান জানান।
Leave a Reply