মোংলা সংবাদদাতা।। মোংলায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া এক অসহায় কিশোরীরে অবশেষে বিয়ে পড়িয়ে দিলেন স্থানীয় পৌর কমিশনার ও মানবাধিকার কর্মী।
গত ৮ মাস যাবত ওই কিশোরীকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে আসছিল স্থানীয় একটি শিপিং কোম্পানীর ম্যানেজার হাবিবুর রহমান। কিশোরী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরলে এলাকাবাসীর চাপের মুখে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয় লম্পট হাবিব। বৃহস্পতিবার বিকালে পৌর শহরের শ্রমকল্যান রোডস্থ্য মানবাধিকার সংস্থার অফিস কার্যলয় বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
প্রদ্যাক্ষদর্শী ও মানবাধিকার কর্মী সুমি লীলা জানায়, ছোট সময় মা-বাবাকে হারিয়ে অন্যের বাড়ী কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেছিল ১৩ বছরের কিশোরী। অভাবের তাড়নায় কোন উপায় না পেয়ে সাতক্ষিরা থেকে মোংলা পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডের ছাড়াবাড়ী এলাকায় চাচা মুনছুর গাজীর বাড়ীতে আসে ওই কিশোরী। চাচী শাহিদা বেগম’র সহায়তায় একটি শিপিং অফিসে ধোয়া-মোছার কাজ নেয় অভাবী ওই নির্যাতিতা কিশোরী। অফিসে কিছু দিন কাজ করার সুবাধে কিশোরীর দিকে কুনজর পরে ৬৫ বছরের অফিস ম্যানেজার হাবিবুর রহমানের। ধর্ষক হাবিব পৌরসভার মাদ্রাসা রোডস্থ আজাহাজর মোল্লার ছেলে। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জোর পুর্বক দিনের পর দিন ধর্ষন করে আসছিল লম্পট হাবিব। এক পর্যায় অসহায় এ কিশোরী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে হাবিবকে বিয়ের কথা বললে তালবাহানা করতে থাকে লম্পট হাবিব। এ খবর চাচি শহিদা বেগম জানতে পারলে হাবিবকে দ্রুত বিয়ের কথা বললে হাবিব বিয়ে করবে না এবং এ ঘটনা মিথ্যে বলে সব কিছু অস্বিকার করে সে।
ম্যানেজার হাবিব এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় নির্যাতিতা ওই কিশোরীকে দুশচরিত্রা বলে এলাকা থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে হাবিব। হাবিবের চাপেমুখে বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চাচি শাহিদা বেগম কিশোরীকে ঘর থেকে বের করে দেয়। কোন উপায় না পেয়ে অসহায় নির্যাতিতা এ কিশোরী স্থানীয়দের সহায়তায় মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসোক) এর উপজেলা শাখার সভাপতি সুমি লীলা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এক পর্যায় বিষয়টি ধর্ষক হাবিবুর রহমানকে জানালে পুলিশ ও মানবাধিকার সংস্থার চাপের মুখে বিয়ে করতে বাধ্য হয় ম্যানেজার হাবিব।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে মানবাধিকার সংস্থা (আসোক)’র কায়লয় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয় এবং নির্যাতনের শিকার অসহায় ওই কিশোরীর অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের জন্য ম্যানেজার হাবিবুর রহমান হাবিব নিজ মুখে শিকার করে বলে জানায় মানবাধিকার কর্মী সুমি লীলা।
Leave a Reply