অনলাইন ডেক্স।। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় পার্লামেন্ট স্থগিত করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী হিচাম মেচিচিকে অপসারণ করেছেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ।
বেশ কয়েকটি শহরে সহিংস বিক্ষোভের পর স্থানীয় সময় রোববার (২৫ মে) নিজ বাসভবনে এক জরুরি বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট এই ঘোষণা দেন।
সোমবার (২৬ জুলাই) তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়,
নতুন প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ,
যা ২০১৪ সালের পর প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টের মধ্যে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সাংবিধানিক সংকট।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমার এই ঘোষণায় কেউ যদি অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার চিন্তা করে,
আমি তাদের সতর্ক করছি যে, কেউ যদি গুলি চালায়, তবে সশস্ত্র বাহিনীও গুলির মাধ্যমেই তার জবাব দেবে।
তিনি দাবি করেন, তার কাজ সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং তিনি সংসদ সদস্যদের দায়মুক্তি স্থগিত করেছেন।
এর আগে, রোববার তিউনিসিয়ার বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে তারা করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং দেশ ও জনগণের ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করেন। এ সময় তারা সরকারে পদত্যাগ চেয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশ কয়েকটি বড় শহরে ক্ষমতাসীন দল এন্নাহাদার অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারে তারা।
এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রী হিচেম মিচিচির পদত্যাগ ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার দাবি জানায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধ জনতা।
পরে প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ এক জরুরি বৈঠকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে সূচনা হওয়া আরব বসন্ত তিউনিসিয়াতেই শুরু হয়। তারপর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে।
Leave a Reply