স্টাফ রিপোর্টার।। নির্মানাধীন ঈশ্বরদী রুপপুর
পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, বাংলাদেশ সুগারক্রপস্ গবেষনা ইনষ্টিটিউট, এক সময়ের গোটা ভারত বর্ষের বাংলাদেশ অঞ্চলের মধ্যে একমাত্র ট্রেন নিয়ন্ত্রণ অফিস তথা পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় অফিস, রেলওয়ে জংসনসহ ছয়টি রেল স্টেশন ও ইপিজেড এর কারণে ঈশ্বরদী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। বর্তমানে একদিকে প্রায় ছয়হাজার রাশিয়ানসহ বিভিন্ন বিদেশীদের পদভারে ঈশ্বরদী অঞ্চল মুখরিত হয়ে থাকে। অন্যদিকে মরণফাঁদ বলে পরিচিত ঈশ্বরদী রেলওয়ে গেট গোটা ঈশ্বরদী পূর্ব ও পশ্চিম দু’ভাগে বিভক্ত করে রাখায় এই অঞ্চলের মানুষকে অনেক আগ থেকেই নানা বিরম্বনার মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হতো। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৪৪ টি ট্রেন পারাপারের কারণে ৪৪ বার গেট বন্ধ করায় শহরে প্রবেশের পাঁচ সড়কের মুখে শত শত যারবাহন আটকে দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একই সাথে নতুন করে ভোগান্তি বৃদ্ধিকারী হিসেবে যোগ হয়েছে হেলে পড়া একটি বিদ্যুৎ পোল। উপজেলা রোডস্থ ঈশ্বরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের নিকট সম্প্রতি একটি বিদ্যুৎ পোল হেলে পড়ায় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি করছে। অভিভাবকহীন এই বিদ্যুৎ পোল হেলে পড়লেও কারও কোন মাথা ব্যথা নেই বলে অভিযোগ করেছেন, পথচারী, যানবাহন চালক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। অভিযোগকারীরা জানান, দীর্ঘদিন আগে লাইন সংস্কারের সময় সোজা ভাবে বৈদ্যুতিক পোলটি স্থাপন করার কয়েকদিনের মধ্যেই অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে সড়কের দিকে হেলে পড়ে। যে কারণে রেলওয়েগেট বন্ধ হওয়ার সাথে সাথেই যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন
হতে হতে হচ্ছে পথচারী, যানবাহণ চালক ও যাত্রীদের।
রেলওয়েগেট খোলার পরও পাঁচ সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও উপজেলা পরিষদ সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হতে অতিরিক্ত সময় লেগে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের ভোগান্তি বৃদ্ধ পাচ্ছে। দ্রুত বিদ্যুৎ পোলটি অপসারণ বা সোজা করে স্থাপনের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে সচেতন মহল আশা প্রকাশ করছেন।
Leave a Reply