তিনি আরো বলেন, ‘সমালোচনা না থাকলে গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। টেলিভিশনের টক শো গুলি শুনে দেখুন কি ভাষায় সরকারের সমালোচনা করা হয়। গঠন মূলক সমালোচনা হলে তাকে সমাদৃত করার মানুষিকতা থাকতে হয়।’
আরো বলেন, ‘সমালোচনাকে সমদৃত করার মাননুষিকতা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আছে। আমি যখন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলাম তখন একটি পত্রিকা ব্যঙ্গ করে আমার কার্টুন ছেপেছিল সে পত্রিকাটিকেই জাতীয় পরিবেশ পদক দেয়ার জন্য আমি নাম প্রস্তাব করেছিলাম এবং পদক তারা পেয়েছিল। দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হবেই এবং সেই সমালোচনা সহ্য করার মতো মানসিকতা থাকতে হবে। না হলে বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে না।’
আরো বলেন, ‘লক্ষ করে দেখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম সকালে কড়া ভাষায় সরকারের সমালোচনা করেন, আবার দুপুর বেলা উনার সাথে পাল্লা দিয়ে রিজভি আহম্মেদ আরো কড়া ভাষায় সরকারের সমালোচনা করেন, তার সাথে পাল্লা দিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অথবা অন্য কেউ আবার প্রেস ক্লাবে গিয়ে সরকারের সমালোচনা করে বলেন আমাদের কথা বলার কোনো অধিকার নেই। বিএনপি নেতারা সারাদিন সরকারের সমালোচনা করেন আর সন্ধায় বলেন আমাদের কথা বলার অধিকার নেই’।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে দেশ কিংবা বিদেশে যখন কোন সঙ্কট সৃষ্টি হয় তখন একটি মহল সেটিকে ঘিরে গুজব রটিয়ে মিথ্যা সংবাদ দিয়ে সমাজে অস্থিরতা ও ভয়ভীতির সঞ্চার করতে ওঁৎ পেতে থাকে। এই করোনাকালেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু গুজব ও মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে মূলধারার গণমাধ্যমের যত্নশীলতা ও কঠোর পদক্ষেপের কারণে গুজব কিংবা মিথ্যা সংবাদ খুব একটা বেশি কাজে আসেনি। এজন্য গণমাধ্যমের সাথে যুক্তদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই’।
ড, হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সমালোচনা তো অবশ্যই থাকবে। কিন্তু সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজেরও প্রশংসা করা দরকার না হলে রাষ্ট্র ও সমাজ এগুবে না’।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে যুগ্ম-সম্পাদক নজরুল ইসলামের পরিচালনায় সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতিদের মধ্যে আবু সুফিয়ান ও কলিম সরওয়ার, সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন, রেজা, বিএফইউজে’র সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ এ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
Leave a Reply