দুদকের মামলায় উচ্চ আদালতের আদেশে গত ৮ নভেম্বর মীর নাছির বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। তখন জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে গত ৬ই মার্চ ২০০৭ সালে মীর নাসির এবং তার ছেলে মীর হেলালের নামে রাজধানীর গুলশান থানায় দুদক মামলা করে। এই মামলায় মীর নাসিরকে ১৩ বছর ও তার ছেলে মীর হেলালকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। ঐ রায়ের বিরুদ্ধে মীর নাসির ও মীর হেলাল হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের আগস্টে হাইকোর্ট মীর নাসির ও মীর হেলালের সাজা বাতিলের রায় দেন।
পরে হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে আপিল করে দুদক। শুনানি শুনে ২০১৪ সালে ৩ রা জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল ঘোষনা করেন।
একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে তাদের করা পৃথক আপিল হাইকোর্টে পুনঃ শুনানির নির্দেশ দেন। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রায়ে আপিল খারিজ করা হয়।
যার ফলে তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছিরের তিন বছরের এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১০ বছরের সাজা বহাল থাকে। একই সঙ্গে তার ছেলে মীর হেলালের তিন বছরের সাজা বহাল থাকে। এবং তিন মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়।
ছেলে মীর হেলাল উদ্দিন গত ২৭ অক্টোবর বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিন দেন তাকে।
Leave a Reply