তৌহিদ আক্তার পান্না,ঈশ্বরদী।। ঈশ্বরদীতে আবাদী কৃষি জমিতে পুকুর খনন করছে জিয়াউল আবেদীন স্বপন নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। এতে যেমন একদিকে কমছে কৃষি জমি অনদিকে ফসলের মাঠে জলাবদ্ধতার শংকা কৃষকদের। স্থানীয়দের ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে, প্রতিকার পেতে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসি। দীর্ঘদিন ধরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী জহির মুহাম্মদ জিয়াউল আবেদীন ওরফে স্বপন ঈশ্বরদীর শেখপাড়া, মৃধা পাড়া এলাকায় কৃষি জমিতে পুকুর খনন করছে। এস্কেভেটর দিয়ে একের পর এক পুকুর খনন করে, ট্রাক্টরের মাধ্যমে মাটি বিক্রি করছে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়। পাহাড়ের সমান উঁচু করে পুকুরপাড় বাধাই করে এই কৃষি মাঠের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । ফলে আসছে বর্ষা মৌসুমে অন্তত: চারশো একর
জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি জলাবদ্ধতা হতে পারে বসতবাড়ি, ধর্মীয় উপাসনালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তার কাছে খননকারীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী জহির মুহাম্মদ জিয়াউল আবেদীন ওরফে স্বপনের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে প্রতিহিংসার শিকার দাবি করে খননের নিয়ম কানুন সঠিকভাবে জানতেন না বলে জানান তিনি। এবং বর্তমানে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে সেইসাথে অনুমতি নিয়ে কনন কাজ করবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে কৃষি মন্ত্রনালয়ের পুকুর খননে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও কৃষি বিভাগের দায়িত্বশীলদের ম্যানেজ করেই নাকি ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমিতে অসংখ্য পুকুর খনন করা হয়েছে এবং হচ্ছে বলে এলাকার ভিন্ন ভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি. এম. ইমরুল কায়েস জানান,
এলাকাবাসির দেওয়া অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পুকুর খননে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারও খনন কাজ করায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে । এ উপজেলায় অবৈধভাবে পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার কথাও জানান তিনি।
Leave a Reply