স্টাফ রিপোর্টার॥ সরকারী রাস্তার জমিতে কাঁচা-পাকা বাড়ি নির্মাণ করে রেকর্ডভুক্ত মালিকানা জমিতে আধা পাকা রাস্তা নির্মানের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও রাস্তার জন্য নির্ধারিত সরকারী জমি দিয়ে রাস্তা নির্মানের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ই জানূয়ারী) দুপুরে সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী ৮ নং ওয়ার্ডের বিতর্কিত রাস্তায় দাঁড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন খাঁনের পক্ষ থেকে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সমেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন খাঁন অভিযোগ করে বলেন, ‘এলাকার প্রভাব শালী মিনাজ মন্ডল গং এর সদস্যরা সরকারী রাস্তার জমি দখল করে কাঁচা-পাকা বাড়ি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। মিনাজ মন্ডল গং এর সদস্যরা প্রভাবশালী হওয়ার সুযোগে কৌশলে প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় সলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মালিথার সহযোগিতায় জোর পূর্বক আমাদের জমি দিয়ে রাস্তা নির্মানের ষড়যন্ত্র করছেন’। বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন খান অভিযোগ উল্থাপন ও উপক্তুক্ত শাস্তি দাবি করে বলেন, ‘মিনাজ মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা না বলে কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল ভাষায় পুঁটকি যোদ্ধা বলে অপমান করেছেন। এতে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হয়েছে’। তিনি মিনাজ মন্ডলসহ ওই গং এর সকল সদস্যদের শাস্তি এবং সরকারী রাস্তার জমিতে রাস্তা নির্মানের দাবি জানান। সম্মেলনে একই দাবি করে বক্তব্য দেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন খানের স্ত্রী আয়েশা বেগম, সুফিয়া বেগম, রফিজ উদ্দীন প্রামানিক ও তরিকুল সরদার । বক্তারা রাস্তার জমি নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সম্পর্কে উপজেলা চেয়ারম্যান, ঈশ্বরদীর ইউএনও, এসিল্যান্ড ও ইউপি চেয়ারম্যান সহ সকলেই জানেন বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে দেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন খান এর বক্তব্য বানোয়াট ও সঠিক না বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত মিনাজ মন্ডল গং এর সদস্যরা। একইভাবে সলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মালিথা বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলায় চেয়ারম্যান কখনও অংশ নেইনা। সার্ভেয়ার ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা দেখে থাকে। তবে করোনার কারণে দেরি হলেও আমি অল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান করার চেষ্টা করব।
Leave a Reply