ডেস্ক প্রতিবেদক : মৃদু শৈতপ্রবাহ, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় আরও বেশী শীত অনুভূত হচ্ছে দেশজুড়ে। সকালে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। ফলে, চরম দূর্ভোগে আছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অসংখ্য রোগী।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায়, আজ সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীতে ছিন্নমুল খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা।
দিনাজপুরের হিলিতে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। তীব্র শীতের কারণে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। জীবিকার তাগিদে বের হলেও আক্রান্ত হচ্ছেন শীতজনিত নানা রোগে।
ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় কুড়িগ্রামের মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। কুয়াশার আড়ালে সুর্য্যের আলো ঢেকে থাকছে সারাদিন। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া নিউমোনিয়া শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগী অন্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশী ভর্তি হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
নওগাঁয় শীতের তীব্রতা, ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। সূর্য না ওঠায় দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
সিরাজগঞ্জে তিনদিন ধরে সুর্য্যের দেখা নেই। ঘণ কুয়াশার সাথে বইছে উত্তরের হিমেল বাতাস। তীব্র শীতে জনজীবন বিপরযস্ত হয়ে পরেছে। হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। মেঝে ও বাড়ান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকে।
Leave a Reply