মিয়ানমারে থেকে ছোঁড়া মর্টারশেলের আঘাতে বান্দরবানে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এদের একজন বাংলাদেশি নারী, অপরজন রোহিঙ্গা পুরুষ। গোলার আঘাতে এ হতাহতের ঘটনায় আতংকে রয়েছেন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক নজরদারি করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরকান আর্মি অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে রেশ এসেছে পড়ছে, সীমান্তের এপারে বাংলাদেশে ভুখন্ডেও। সোমবার মিয়ানমারের ছোঁড়া গোলা আছড়ে পড়ে বান্দরবানের সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলা এলাকায় একটি বাড়িতে। এতে, সেখানে এক বাংলাদেশি নারী এবং এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়।হোসনে আরা নামে ওই নারী ঘরে বসে খাচ্ছিলেন। নিহত অপরজন রোহিঙ্গা বৃদ্ধ।
হতাহতের এ ঘটনার পর ঘুমধুম এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। সীমান্তবর্তী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে মুখে প্রাণ বাঁচাতে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৯৫ জন্য সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সীমান্ত দিয়ে যাতে রোহিঙ্গা বা মিয়ানমারের কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য নজরদারি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি।
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পালিয়ে আসা সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে দেশটির সাথে আলোচনা হয়েছে, বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মিয়ানমারের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেছেন। তারা তাদের সীমান্তরক্ষীদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের নতুন সরকারের সাথে কাজ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে চিঠি দিয়েছে এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত ও নতুন মাত্রায় পৌছবে।
Leave a Reply