স্বাধিনতার কন্ঠ।। গত সোমবার (১৮ই জানুয়ারী) জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জাতীয় সংসদ দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। গণতন্ত্রায়ন, সুশাসন ও নিরবচ্ছিন্ন আর্থসামাজিক উন্নয়নে সকল রাজনৈতিক দল, শ্রেনি পেশার মানুষ নির্বিশেষে ঐকমত্য গড়ে তোলার সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আমি উদাত্ত আহ্বান জানাই।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেসন শুরু হয়। অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির আগমনে সশস্ত্র বাহিনীর একটি বাদক দল বিউবলে ‘ফ্যানফেয়ার’ বাজিয়ে রাষ্ট্রপতিকে সম্ভাষণ জানান। পরে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।
রাষ্ট্রপতির জন্য স্পিকারের ডান পাশে লাল রঙের চেয়ার রাখা হয়। এ সময় অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত লিখিত ভাষণের সংক্ষিপ্ত অংশ সংসদে পড়েন। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ দেওয়ার বিধান আছে। সে অনুযায়ী প্রতি বছরের মতো এ নতুন বছরেও রাষ্ট্রপতি সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম ও উন্নয়ন তুলে ধরেন তাঁর ভাষণে।
রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে দল মতের পার্থক্য ভুলে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সুশাসন সুসংহতকরণ, গণতন্ত্র চর্চা ও উন্নয়ন কর্মসূচিতে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকারের নিরবচ্ছিন্ন প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহতকরণ এবং জাতির অগ্রযাত্রায় সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলকেও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। আমি সরকারি দল ও বিরোধী দল নির্বিশেষে মহান জাতীয় সংসদে যথাযথ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।
রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ বলেন, আমরা আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে। শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে পথে আমরা হাঁটছি, সে পথেই আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। এ বছর মধ্য-আয়ের দেশ হিসেবে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে বিশ্বসভায় একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হওয়া। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা একটি কল্যাণমূলক, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সক্ষম হবো।
Leave a Reply