ডেস্ক রিপোর্ট॥ বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্প নির্মানাধীন রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র,পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় অফিস,রেলওয়ে পুলিশের পাকশী জেলা এবং এসআরপির অফিস,ঈশ্বরদী ইপিজেড,বাংলাদেশ সুগারক্রপস গবেষণা ইনষ্টিটিউট,ডাল ও কৃষি গবেষনা কেন্দ্র,সুতা ও চিনি মিল,অসংখ্য অটোরাইচ মিল,৬ টি রেল স্টেশন, ৫টি পুলিশ ফাঁড়ি, ৩ টি পুলিশ স্টেশন, ঈশ্বরদী সেনা নিবাস ও মিলিটারী ফার্ম, ডেইরী ফার্ম, ঐতিহাসিক সাঁড়াঘাট, বিদ্যুতের গ্রীড অফিস, পাকশী পদ্মানদীর উপর দেশের জোড়া সেতসহু (লালনশাহ সেতু ও হার্ডিঞ্জ সেতু) নানা গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক কারণে এবং দেশের উত্তর ও দক্ষিনাঞ্চলের প্রবেশ দ্বার বলে খ্যাত বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ঈশ্বরদী। সেই ঈশ্বরদীতে সওজ, এলজিইডি ও পৌরসভা মিলে ১৩’শ কিঃমিটার কাঁচা-পাকা সড়ক-মহাসড়কের প্রায় একশ’টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের দীর্ঘদিন থেকে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে । নির্মাণ কাজে ত্রটি ও ধারণ ক্ষমতার দু’তিনগুণ অতিরিক্ত মাল বোঝাই যানবাহন চলাচলের কারণে সৃষ্ট খানাখন্দের পড়ে যাত্রী ও চালকদের দূর্ভোগ বেড়েছে। আক্রান্ত হতে হচ্ছে নানা রোগ ব্যধিতে। ছোট খাট যানবাহণ চলাচলেও অসুবিধা এবং অনেক যানবাহনকে মাঝে মধ্যেই দূর্ঘটনায় পড়ে প্রাণহানিসহ মারাত্বক ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে নানা শ্রেণী পেশার বিভিন্ন বয়সী মানুষকে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান ব্যবসায়ী মহল,যানবাহন চালক ও সকল শ্রেণীপেশার বিভিন্ন বয়সী এলাকাবাসীরা । দীর্ঘদিন থেকে নিয়মমাফিক সংস্কার না করা ও ধারণ ক্ষমতার দু’তিনগুণ অতিরিক্ত মাল বোঝাই যানবাহন চলাচলের কারণে দূর্ঘটনাসহ যাত্রী ও চালকদের দূর্ভোগ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি হচ্ছে। দীর্ঘদিন আগ থেকে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন প্রকার সড়ক গুলোতে এ অবস্থার সৃষ্টি হওয়ার কারণে এলাকাবাসী,ব্যবসায়ী,চালক ও পথচারিদের আর্থিক সমস্যা ও রোগ ব্যধিতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। প্রতিদিনই পথচারী ও ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে নানা প্রকার কটুক্তি মূলক শব্দ ছড়িয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন মহলে। প্রতিদিনই সচেতন মহলের অনেককেই কোন কোন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা সমালোচনা ছড়িয়ে দিয়ে মনের মধ্যে জমে থাকা কষ্ট লাঘব করতে শোনা যায়। আবার কেউ কেউ কোন কোন দায়িত্বশীলদের নাম শুনলেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। তাদের এসব মন্তব্যে অনেকেই খুশী হন আবার কেউ কেউ এই বলে মন্তব্য করেন যে, বলে কি করবেন ? তারা আছে তাদের কাজ নিয়ে,আমার আপনার বা সমাজের মানুষের ভাল মন্দ দিয়ে কোন আসে যায়না তাদের। এমন এক শ্রেণীর লোকদের সংখ্যাও কমনা,যারা দু’একজন দায়িত্বশীলদের অশ্লীল ভাষায় বকা দিতেও দ্বিধাবোধ করেন না। তারপরও ঐলোকগুলো যাদের বিরুদ্ধে বকা বা বিরুপ মন্তব্য করেন,তারাই যখন খানা খন্দের রাস্তাঘাট নিয়ে উন্নয়ন মূলক কাজ করেন তখন ঐ লোক গুলোই আবার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে নানা প্রকার ভাল গুনের কথা বলে থাকেন। ঈশ্বরদীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ একশ’টি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ও লাখ লাখ শিক্ষার্থীসহ পথচারি যাতাযাত করেন। কাজেই ঈশ্বরদীসহ সারা দেশের চলাচলকারীদের সমস্যা বিবেচনা করে অতীব জরুরি ভিত্তিতে এই রাস্তা গুলোর দুাবস্থারোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি ভুক্তভোগিদের। ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকায় ড্রাম ট্রাকগুলো অতিরিক্ত মালামাল পরিবহণ করতে গিয়ে ব্যক্তি বিশেষের লাভ হলেও রাষ্ট্র ও সাধারণ মানুষের ক্ষতি হচ্ছে শুধু মাত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অবহেলা বা অপারগতা বা অযোগ্যতার কারণেই হচ্ছে বলে সচেতন মহলের ভুক্তভোগীরা মন্তব্য করেন। পাকশীতে বড় ড্রাম ট্রাকে বাল,পাথর ও মাটি পরিবহণের কারণে কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে স্বীকার করেন এলজিইডি কর্মকর্তা। তবে সরকার থেকে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলেই দ্রুত সমস্যার সমাধান করবেন বলে তিনি জানান। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সচেতন মহলের পরামর্শ বিশেষজ্ঞ টিমের পরামর্শে সঠিক এসেসমেন্ট এর মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা দরকার। সকল অনিয়ম তদারকি করে ঈশ্বরদীর সড়ক-মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলো চলাচলের উপযুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন চাইছেন ভুক্তভোগিরা।
Leave a Reply