বান্দরবান সংবাদদাতা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, কোন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে ছাড় দেয়া হবে না। বান্দরবানের রুমার ঘটনায় সন্ত্রাসীরা তাদের সক্ষমতা প্রর্দশন দেখানোর চেষ্টা করেছে মাত্র তবে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ধুলিসাৎ করে দেবে।
শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে বান্দরবান জেলার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমন মন্তব্য করেন। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বান্দরবানে আমরা সব বাহিনীর সদস্য আরো বৃদ্ধি করবো এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে যা যা করা দরকার তা করবো।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, বান্দরবান অত্যন্ত শান্তপ্রিয় এলাকা আর এই এলাকায় এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড মেনে নেয়া যায় না। ০৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে তিনি প্রথমে বান্দরবানে রুমা উপজেলায় পৌঁছান, পরে তিনি সেখানে সোনালী ব্যাংকে শাখা পরিদর্শন করেন এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে ঘটনার বিবরণ শুনেন।
পরে দুপুর ১ টায় তিনি হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবান সদরে পৌছে আবার প্রশাসনের বিভিন্ন উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় করেন। শেষে দুপুর ৩.৩০ মিনিটে তিনি বান্দরবান সদর থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপির সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বান্দরবানের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসার ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, বান্দরবানের পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীনসহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন পদ মর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: পার্বত্য জেলা বান্দরবানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সদস্যরা গত কয়েকদিন যাবৎ রুমা, থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে সশস্ত্র হামলা করে টাকা লুট করে এবং পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মারধর করে ১৪টি অস্ত্র ও ৩৮০ রাউন্ড গুলি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এদিকে কয়েকদিনের চলমান বিভিন্ন সশস্ত্র হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় বান্দরবানের রুমা ও থানচি থানায় ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply