নিজস্ব প্রতিবেদক : পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলছে ‘বৈসাবি’ উৎসব। পুরনো বছরের গ্লানি মুছে নতুন বছরকে রাঙাতে পাহাড়ে পাহাড়ে নানা আয়োজন করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদী ও রাঙ্গামাটিতে ফয়েজ লেক এবং বান্দরবানে সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে শুরু হয় ‘ফুল বিজু’ উৎসব।ভোরে শতশত শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ সূর্যোদয়ের আগেই নদীর তীরে সমবেত হন। সারিবদ্ধ হয়ে নদীতে নানা রঙের ফুল উৎসর্গ করেন। ফুলে ফুলে বর্ণিল হয়ে উঠে লেক ও নদী। এছাড়া শহর, শহরতলীর বিভিন্ন খাল ও প্রাকৃতিক ছড়াও ফুলে ফুলে ভরে যায়।
এদিকে, ত্রিপুরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নদীতে ফুল পুজা করে বৈসু উৎসব শুরু করেন। নদীর তীরে, ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেজে পাহাড়ী তরুন-তরুনীরা সবার মঙ্গল কামনায় কলাপাতায় করে ভক্তি শ্রদ্ধায় গঙ্গাদেবীর পুঁজা করেন।
একদিকে বাংলা বর্ষবরণ অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রধান ধর্মীয় উৎসব বৈসাবী এ দুটো মিলে পাহাড়ে বাঙ্গালী ও পাহাড়ীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়। উৎসবের আমেজ নিয়ে সারা বছর পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধরে রাখার আহবান সুধীজনদের।
বাংলা বর্ষবরণ ও বৈসাবীর পক্ষকালব্যাপী পাহাড়ের এ দীর্ঘ আনন্দ আয়োজন সফল করতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উৎসবের শেষ দিনে ১৬ এপ্রিল মারমা সম্প্রদায় উদযাপন করে ঐতিহ্যবাহী পানি খেলা উৎসব। সপ্তাহ জুরে চলে মামো পল্লী গুলোতে । এর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে পাহাড়ের এই বৈসাবী উৎসব।
Leave a Reply