বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশের ঈশ্বরদীতে রাশিয়ান জাতীয় পতাকা দিবস উদযাপিত
তৌহিদ আক্তার পান্না,ঈশ্বরদী ।। ,বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশে রাশিয়ান জাতীয় পতাকা দিবস উদযাপিত উৎসবমুখর আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো পাবনার ঈশ্বরদীতে রাশিয়ান জাতীয় পতাকা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, রুশ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে কুইজ প্রতিযোগীতা, পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। রাশিয়ান ফেডারেশনের জাতীয় পতাকা দিবস উপলক্ষে গত ২২ আগস্ট ঈশ্বরদীর স্থানীয় একটি রিসোর্টে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিগো ইন্টারন্যাশনাল এবং এতে সহযোগী হিসেবে ছিল অ্যালামনাই ও ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ এবং পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটির ঢাকাস্থ রুশ দূতাবাস ও রাশিয়ান হাউজ। সকাল ১০টা থেকেই ঈশ্বরদীর অন্তত ৪০টি স্কুলের কয়েকশ শিক্ষার্থী অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করে। প্রায় এক হাজার অতিথিদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন ও দুইদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দুপুর বারোটার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
রাশিয়ার পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটির অ্যালামনাই অ্যান্ড ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সিআইপি প্রকৌশলী আলমগীর জলিল এবং “ডিগো ইন্টারন্যাশনালের” পরিচালক প্রকৌশলী হাসান ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পাবনা-৪ আসনের সাবেক সাংসদ সিরাজুল ইসলাম সরদার, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অধ্যাপক ড. রমিত আজাদ, ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজের পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ, ঢাকাস্থ রুশ দূতাবাসের সাবেক মিনিস্টার-কাউন্সিলর আন্দ্রে স্টারকভ। আলমগীর জলিল তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর ১৯৭২ সালের ২৪শে জানুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের যে সম্পর্ক গড়ে ওঠেছে তা ইতিমধ্যে ৫০ বছর পার করেছে। রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হচ্ছে এই ঈশ্বরদীতে। ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশের একমাত্র পারমানবিক বিদ্যুতকেন্দ্র, যার নির্মাণে বড় অংশের অর্থটি এসেছে রাশিয়ার দেয়া ঋণ থেকে।” আলমগীর জলিল আরও বলেন, “ব্যবসা, অর্থনীতি, শিক্ষা এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে রাশিয়ার সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশের। যে দেশটি আমাদের এতকিছু দিয়েছে, এখন সময় এসেছে রাশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর।
আর তাই রাশিয়ান জাতীয় পতাকা দিবস এতো জমকালোভাবে আমরা উদযাপন করছি।” অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্তিস্কির যোগদান করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি উপস্থিত হতে পারেন নাই। রাষ্ট্রদূতের পাঠানো বক্তব্যটি পাঠ করেন রুশ দূতাবাসের সাবেক মিনিস্টার-কাউন্সিলর আন্দ্রে স্টারকভ। এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন রূপপুর প্রকল্পের রুশ কর্মকর্তা রুবেলা ইউলিয়ানা, খাইরুল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক খায়রুল ইসলাম প্রমুখ। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পতাকার উপর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রাশিয়ার ইতিহাস ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর কুইজ, রুশ ভাষায় সংগীত পরিবেশনার পাশাপাশি কনসার্টের আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছাড়াও স্কুলের শিক্ষকদের উপহার ও স্মারক প্রদান করা হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. জামিল খান।#
Leave a Reply