স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১৫৮ বছর পর মুজিব বর্ষে রেলওয়ের সেবা আরও জনমুখি করে তুলতে বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় অফিসের পক্ষ থেকে প্রথম রেলওয়ে দিবস পালন করেছে। বিগত ১৮৬২ সালের ১৫ নবেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত ৫৩ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন চালু করে। এসময়ই মূলত: বাংলাদেশে প্রথম রেল চলাচল শুরু করা হয়। এই রেল চলাচল শুরুর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে প্রথম রেলওয়ে সম্পর্কে ধারনা জন্মায়। এর পর ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশে রেলওয় সেবা সম্প্রসারণ হতে থাকে। এক পর্যায়ে পাকশীতে গড়ে ওঠে ভারত বর্ষের মধ্যে চলাচলকারী রেলওয়ে ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ অফিস। সে সময় পাকশী হয়ে ওঠে রেলওয়ের ঐতিহাসিক শহর। পরবর্তীতে কালের বিবর্তণে ভারত বর্ষের সেই ঐতিহাসিক রেলওয়ের নিয়ন্ত্রক পাকশী অফিসের ইতিহাস হারিয়ে যায়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারণ অব্যাহত তাকলেও মাজপথে অনেকটা স্থবির হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের ও মানুষের উন্নয়ন করতে হলে রেলওয়ের উন্নয়নের বিকল্প নেই বলে উপলব্ধি করতে পেরে আলাদা রেলওয়ে মন্ত্রনালয় গঠনের মাধ্যমে অব্যাহতভাবে সম্প্রসারণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মাজ পথে ১৮৬২ সালের পর দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলেও রেলওয়ে দিবস পালন করা হয়নি। কেউ কখনও বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছেন এমন নজিরও কোথাও পাওয়া যায়নি। বর্তমান উন্নয়ন মুখি সরকার দেশ ও মানুষের কল্যাণে -সেবা, নিরপত্তা, গতি, সময়ানুবর্তিতা ও প্রচেষ্টাকে আরও বৃদ্ধি করে রেলওয়ের সেই হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসকে রেলওয়ে দিবস পালনের মাধ্যমে জনসম্মুখে তুলে এনেছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত ১৫ নবেম্বর রবিবার বিকেলে দেশের প্রথম কুষ্টিয়ার জগতি রেলওয়ে স্টেশনে দিবসটি পালন উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসুচির আয়োজন করা হয়। কেক কেটে এবং বেলুন ও শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। পরে স্টেশন চত্বরে রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী/১ বীরবল মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা। এসব অনুষ্ঠানে পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ডিএমই ক্যারেজ মমতাজুল ইসলাম, রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ডিএমই লোকো আশিষ কুমার, রেলওয়ে পাকশী বিভাগের বৈদ্যুতিক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী রিফাত শাকিল এবং রেলওয়ে পাকশী বিভাগের টেলি যোগাযোগ ও সকেত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী রুবাইয়াত শরীফ প্রান্ত ও রেলওয়ে পাকশী বিভাগের বৈদ্যুতিক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী রিফাত শাকিল ।
Leave a Reply