আন্তর্জাতিক ডেক্স।। জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা সত্যি প্রমাণ করল মিয়ানমার সেনাবাহিনী। গত সপ্তাহে দেশটির সেনাবাহিনী এমন ধারণাকে উড়িয়ে দেয়। এবং বলে, সংবিধান মেনে গণতান্ত্রিক যাত্রা অব্যাহত থাকবে। অথছ সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই গনতান্ত্রিক সরকারের নেত্রী আং সান সূচি সহ জোষ্ঠ নেতাদের আটক করে ক্ষমতা দখল করে সে দেশের সেনাবাহিনী এবং জরুরী অবস্হা ঘোষনা করে।
বিবিসির খবরে জানিয়েছে, নির্বাচনের ফল নিয়ে মিয়ানমারের সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো এ কারনেই এই সামরিক অভ্যুত্থান। গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতি করার কারনে সরকারের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করেছে বলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) মুখপাত্র মিও নয়েন্ট জানান, সোমবার (০১লা ফেব্রয়ারি) ভোরে রাজধানী নেপিডোতে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের শীর্ষ নেতাদের আটক করেছে। এর পর সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে এক বছরের জন্য দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করর বলে রয়টার্সের খবরে জানানো হয়।
মিয়ানমারে ঘটনায়, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন তার মুখপাত্র স্টিভেন দুজারিক।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের সব পক্ষকেই উসকানিমূলক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার এবং গণতান্ত্রিক রীতি মেনে নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেছেন ভোটের ফল নিয়ে কোনো বিরোধ থাকলে আইনিভাবেই তা মেটাতে হবে।
সু চি সহ আটক সকল নেতাদের মুক্তি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সহ বিশ্ব নেতারা।
Leave a Reply